লালপুরে ফিরতি ট্রেনের টিকিট পেতে যাত্রীদের ভোগান্তি
নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলছে ঈদ পরবর্তী ২৭ আগস্টের পদ্মা, সিল্কসিটি ও ধুমকেতু ট্রেনের অগ্রিম টিকিটি বিক্রয়। টিকিট কিনতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে থেকে লাইন ধরেছেন প্রায় শতাধিক টিকিট প্রত্যাশীরা।
সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। একটি মাত্র কাউন্টারে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে দেখা গেছে।
কাউন্টারে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ভিড় ছিল চোখেপড়ার মতো। মানুষের দীর্ঘ সারি কাউন্টার থেকে স্টেশনের প্লাটফর্ম পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। তবে সকাল থেকে লাইন ভেঙে টিকিট নেওয়া বা কালোবাজারে টিকিট বিক্রির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। টিকিট প্রত্যাশী অনেকে কাঙ্খিত টিকিট না পেয়ে পুনরায় ২৮ আগস্টের টিকিট সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আজ পাওয়া যাচ্ছে ২৭ আগস্টের আগাম টিকিট।
টিকিটনিতে আসা খোকন আহম্মেদ মুক্ত প্রভাত-কে বলেন,‘ তিনি শুক্রবার বিকেলে এসে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে সকালে তাপানুকূল চেয়ারের টিকিট চেয়ে তিনি না পেয়ে আফসোস করেন এবং পরবর্তী ২৮ আগস্টের টিকিটের জন্য আবার লাইনে দাঁড়ান।’
টিকিটি নিতে আসা মেহিদী হাসান বলেন,‘৩টি তাপানুকূল চেয়ারের টিকিটের জন্য ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে একটিও টিকিট পেলাম না।’
এ ব্যাপরে আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন,‘ঈদ পরবর্তী ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। আজ দেওয়া হচ্ছে ২৭ আগস্টের টিকিট। টিকিট কাউন্টারগুলোতে উপচে পড়া ভীড়। সকাল ৮টা থেকে টিকিট দেওয়া চলছে, যতক্ষণ কাউন্টারে টিকিট থাকবে, ততক্ষণ দেওয়া হবে।’
তবে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আমাদের কাছে মাত্র ৯৫টি টিকিট ছিলো এই সীমিত সম্পদ দিয়ে কিন্তু সবাইকে খুশি করা যায় না। তবুও আমরা যতক্ষণ পারব দেওয়ার চেষ্টা করব ।’
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আব্দুলপুর রেলস্টেশনে একটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি চলছে। তবে এতে নারীদের জন্য আলাদা কোন কাউন্টার নেই । একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এই টিকিটও ফেরত নেওয়া হবে না। মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে, আর বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। কাউন্টারে পরিবেশ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন।
এদিকে টিকিট কালোবাজারী রোধে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়ন নিয়োজিত রয়েছে।