হাতীবান্ধায় তিস্তার বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ
প্রতিবছর বর্ষাতে বাঁধের কোনো না কোনো স্থান ভেঙে যায়। এতে করে অন্তত তিন থেকে চারটি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আর এবছরও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রোপা-আমন ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা । দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর বাম তীরে ফসল রক্ষার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে ৬০ মিটার বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে গ্রামবাসী।
শনিবার (১১ আগস্ট) উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামে বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ জানান, বিগত বন্যায় তিস্তা নদীর হিংস্রো স্রোতে ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামে চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে রোপা-আমনের ব্যাপক ক্ষতি করে। আগামী দিনে বন্যার কবল থেকে জনবসতি ও ফসল রক্ষার্থে স্থানীয়রা বাঁধটির ভেঙে যাওয়া চারটি স্থানে মেরামতের উদ্যোগ নেয়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের এ কাজে সহযোগিতা করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে বস্তা সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রামবাসী স্থানীয়দের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের পাইলিং দিয়ে বালুর বস্তা ফেলা শুরু করেছে।
ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামের ভেঙে যাওয়া চারটি স্থানে যত বস্তার প্রয়োজন হবে সব উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রোপা-আমন ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা তাদের দুর্ভোগ লাঘবে নিজেরাই বাঁধটি মেরামতে উদ্যোগ নিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, ধুবনী এলাকায় বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ করছে।
তবে হাতীবান্ধাবাসীকে রক্ষায় উক্তস্থানে নতুন করে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।