ভ্রাম্যমান আদালতের রায় ‘জুয়াড়িরা করবেন কাঁচা সড়কে মাটি ভড়াট’

0

তাসের জুয়া খেলা অবস্থায় সোমবার মধ্য রাতে উপজেলার ধারাবারিষা এলাকা থেকে ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সেই ৭ জুয়াড়িকে ৫শ টাকার মুচলেকা নিয়ে সরকারি সড়ক মেরামতের স্বর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জুয়াড়িদের সুপারিশ করতে আসা আরো ১১ জনকে শুধু সড়ক মেরামতের আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকালে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ মনির হোসেন তার কার্যালয়ে বঙ্গীয় প্রকাশ্যে জুয়া আইনের ১৮৭৬ এর ১৩ ধারা মোতাবেক ওই রায় দেন। মুচলেকার স্বর্তে বলা হয়েছে- এসব জুয়াড়িসহ তাদের সুপারিস করতে আসা আরো ১১ জন ব্যক্তি কোন প্রকার অপরাধ কর্মকান্ডে জড়াতে পারবেন না। সেই সাথে রাষ্ট্রের কল্যাণে তারা আগামী ৭ দিন গুরুদাসপুর উপজেলার ‘চরকাদহ-তালবাড়িয়া সড়কে’র মেরামত কাজ করবেন।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। তখন রাত ১২ টা হবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাসের জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জুয়াড়ি আটক করে। এসময় জুয়া খেলার সামগ্রি জব্দ করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত ৭ জুয়াড়ি হলেন, উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামের মিন্টু সরদার, মসিন আলী, আলম খাঁ, চরকাদহ গ্রামের নবির ফকির, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস ও ওয়াজেদ আলী প্রাং। এবং সুপারিশ করতে আসা ১১ জন হলেন, সানোয়ার, সুজন, রাজিব, বিপ্লব, মিলন, ইয়াকুব, মেহেদি, আলিম, নবির উদ্দিন, সুজন ও আলু ফকির।
ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি ) চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ধারাবারিষা এলাকার ৭ জুয়াড়িসহ আরো ৮ জনকে সড়ক মেরামতের স্বর্তে মুচলেকার বিনিময়ে ছেরে দেওয়া হয়েছে। এবং সড়ক মেরামত কাজ দেখভালের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ মনির হোসেন বলেন, অপরাধ বিবেচনা করে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের সাজা প্রদান করা হয়েছে। এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে সামাজিক শাস্তি হিসাবে সরকারি কাঁচা সড়ক মেরামতের কাজ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তরা সড়কের কাজ করলে সামাজিকভাবে সচেতনা তৈরি হবে।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.