
গুরুদাসপুরে আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪৬ নেতা-কর্মী কারাগারে
সরকারী কাজে বাধা দান মামলায় গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের ৪৬ নেতা-কর্মীর জামিন না মুৃঞ্জুর করে হাযতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানী শেষে উপজেলা গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুল বারী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান শাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মোল্লা, জেলা পরিষদ সদস্য মেহেদী হাসান, যুবলীগ সভাপতি তাহের সোনার, সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিলন, ছাত্রলীগ সভাপতি স.ম সেলিম, সেচ্ছাসেবক লীগের পৌর সভাপতি স্বাধীন মাহামুদ, শ্রমিকলীগ সভাপতি মাসুদ সরকারসহ ৪৬ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া গুরুদাসপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলীসহ ছয় নেতা কর্মীর জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন এবং আদালতে অনুপস্থিতির কারনে আরো ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
গুরুদাসপুর আদালতের কোর্ট জিয়ারু (ইন্সপেক্টর) শফিকুল ইসলাম ৪৬ জনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাই কোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৪৬ আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। এছাড়া পৌর মেয়রসহ ছয়জনের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন।
প্রসঙ্গত,- ১৭ সালের ১১ মে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী তার প্রায় দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে সভাস্থলে আসেন। এসময় মেয়র সমর্থকদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এবং মেয়র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠি চার্জসহ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ওই দিন মেয়রসহ অন্ততঃ ১০ জন আহত হন। এঘটনায় গুরুদাসপুর থানার তৎকালীন এসআই সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৬৬ নেতা কর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী দাবী করেন, ওই মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলায় তিনিসহ তার নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। অথচ আদালত ৪৬ আসামীর জামিন না মুঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল