অদম্য এক চিকিৎসক রুনা
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
কোন প্রতিকুলতাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। চড়াই উৎরাইয়ের গল্প ছাপিয়ে জীবন গঠনের মতো কঠিন বাস্তবাতায়ও তিনি সফল নারী।
বর্তমানে চিকিৎসক হিসাবে অষ্ট্রেলিয়ায় কর্মরত আছেন। তিনি চিকিৎসক নাদিরা পারভীন রুনা। জন্ম ১৯৭৪ সালে নাটোরের সিংড়ার কালিনগর গ্রামে।
ডাঃ নাদিরা পারভীন রুনা ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টফুলে বৃত্তি লাভ করেন। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অনেক ক্যাটাগরিতে (উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা ইত্যাদি) পুরস্কারও রয়েছে তার ঝুলিতে। তিনি ১৯৯০ সালে গুরুদাসপুর রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪৭ নম্বর নিয়ে এসএসসি পাশ করার আগেই বাবা মৃত্যুবরণ করেন। মা ছিলেন গৃহীনি।
চিকিৎসক রুনা ১৯৯২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাশ ১৯৯৪ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ডাক্তার হওয়ার পরে তিনি ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় ( স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ হন। পোস্টিং হয় চুয়াডাঙ্গায়। এফ.সি.পি.এস, পার্ট-১ সম্পন্ন হলে স্বামীর হাত ধরে চলে আসেন ঢাকায়। তারপর ২০০৮ সালে স্বামীর সাথে পারি জমান অস্ট্রেলিয়ায়।
সম্প্রতি ঢাকাস্থ সিংড়া উপজেলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি মিলনায়তনে ‘সিংড়া উৎসব-২০১৮’ এ ০৬ জন সফল নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এখানেও তিনি সফল নারী হিসাবে সম্মাননা পেয়েছেন।
তবে ডাঃ নাদিরা পারভীন রুনা অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তার সম্মাননা ক্রেস্টটি গ্রহণ করেন চাচা মোঃ আব্দুল মতিন। ক্রেস্ট প্রদান করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এম.পি।
উল্লেখ্য ডাঃ নাদিরা পারভীন রুনা’র মা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৭ সালে রাজশাহী বিভাগের সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল