সড়ক দূর্ঘটনার মামলা হত্যা হিসাবে নথি ভুক্ত
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
ছোট্ট আকিফা ভূবনে নেই। ঘাতক বাসের ধাক্কা খেয়ে মায়ের মমতাময়ি কোল থেকে পাকা সড়কে ছিটকে পরা আকিফা শেষ পর্যন্ত কাটা ছেরা নিথর দেহটা নিয়েই চলে গেছে ওপারে। আদরের মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা নির্ব াক নিশ্চুপ। বুকের ধন হারিয়েছে তাদের। কিসে জুড়োবে সে জ্বালা। না এ জ্বালা জুড়াবার নয়।
তবুও শূণ্য বুকে বিচারের প্রত্যাশায় দিনলিপি গুনছেন স্বজনরা। অবশেষে শিশু আকিফাকে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার মামলাটি হত্যা মামলা হিসাবে নথি ভুক্ত হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে হত্যা মামলা হিসাবে নথি ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি শিশুটির পরিবারের কাছে খুব একটা শান্তনার না হলেও বেপরোয়া বাস চালকদের জন্য সর্ত ক বার্তাও।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- কুষ্টিয়ায় ৩০৪ ধারায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন ৩০২ ধারায় এজাহারভুক্ত হলো। মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন কাদেরী মামলাটি ৩০৪ ধারার পরিবর্তে ৩০২ ধারা সংযোজনের জন্য আদালতে একটি আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক এম এম মোর্শেদ আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে আদালতের বিচারক জামিনপ্রাপ্ত ঘাতক বাসের মালিক জয়নুল আবেদীন ও চালক খোকনের জামিনও বাতিলের আদেশ দিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, বাসের ধাক্কায় শিশু আকিফা নিহতের ঘটনায় তার পিতা হারুণ-উর-রশিদ কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে যে মামলা করেন সেটি তিনি ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা হিসাবে এজাহারভুক্ত করতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিশ মামলাটি হত্যা মামলা হিসাবে নথিভুক্ত না করে ৩০৪ ধারায় হত্যাচেষ্টা মামলা হিসাবে এজাহারভুক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের উদ্দশ্যে ছেড়ে আসা গঞ্জেরাজ পরিবহনের বাস শহরের চৌড়হাস মোড়ে এক বছরর শিশু কন্যা আকিফা ও মা রিনা বেগমকে সজোরে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে শিশু আকিফা রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ ও সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় মামলার আসামি গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক জয়নুল আবেদীনকে র্যাব ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে। গত রবিবার কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরদিন সোমবার কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ্ম এম মোর্শেদের আদালতে জামিন আবেদন করা হলে বিচারক জয়নুলকে জামিন দেন। এছাড়া একই দিনে ঘাতক বাসের চালক মহিদ মিয়া ওরফে খোকন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তাকেও জামিন প্রদান করেন।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল