ঢাবি ভিসিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে (ডাকসু) নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়নি। একারনে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ মামলাটি করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ ঢাবির প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন।কে বিবাদি করা হযেছে।
১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই লম্বা সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ভিসিসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দিতে হাইকোর্ট নির্দেশে দেন গত ১৭ জানুয়ারি। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হয়নি। ফলে সংশ্লিষ্টদেরকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব তারা দেননি। একারনে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ২০১২ সালে ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।
এরপর একই বছরের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রিটে বিবাদী শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে বিবাদী করা হয়।
পরে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। কিন্তু সে রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় তাদের নোটিশ প্রেরণ করেন রিটকারী আইনজীবী।
সাত দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নোটিশপ্রাপ্ত তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবি ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বুধবার আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। সূত্র (যুগান্তর)