ব্রহ্মপুত্রের ভয়ানক রুপ বাড়াচ্ছে আতংক

0

মোস্তাফিজুর রহমান, সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

বাড়ছে পানি। নষ্ট হচ্ছে ফসলের ক্ষেত। শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। এই ভাঙ্গন পাল্টে দিচ্ছে মানচিত্র। যে যার মতো সাধ্য অনুযায়ী বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। ব্রহ্মপুত্রের এমন ভয়নক রুপ দুশ্চিন্তায় ফেলছে চারাঞ্চলের মানুষকে। চারিদিকে বাড়ছে ভাঙ্গন আতংক।

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে সাঘাটার ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে আমনসহ সবজি ক্ষেত। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।

উপজেলার হলদিয়া ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নের থৈকরেরপাড়া ও ব্যাঙারপাড়া গ্রামে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ২’শ বিঘা রোপা আমন ও সবজিক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। সেই সাথে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নদী পাড়ের লোকজন আতংকে দিন পার করছেন। এমনকি সুবিধামত স্থানে বাড়ীঘর সড়িয়ে নিচ্ছেন।

ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ীসহ বহু আবাদী জমি। স্থানীয় মোয়াজ্জেম মিয়া বলেন, “যেভাবে পানি বাড়ছে নদীতে, মনে হয় ভিটে মাটি গিলে খাবে। উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদার ইসলাম জানান, গত ৩ দিন ধরে যেভাবে ব্রহ্মপুত্রর পানি বাড়ছে তাতে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে। আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, নদী ভাঙ্গন বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কয়েকবার অবগত করা হয়েছে। তারা জিও ব্যাগ ফেলেই ক্ষ্যান্ত। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা এখন চোখে পড়ছে না।

উল্লেখ্য বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৯৪টি পয়েন্টের মধ্যে ৭৪টির পানি বেড়েছে। কমেছে ১৮টির। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। যে কোন সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.