কুবিতে বাড়তি ফি নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ
এবি এস ফরহাদ, কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তির অতিরিক্ত ফি অাদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু যে ভর্তি ফির ক্ষেত্রে অধিক টাকা নেওয়া হচ্ছে তা নয়। অনুষদ ভেদে সেমিষ্টার ফির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার কারনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অথচ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ থেকে ৭ হাজার টাকায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ভর্তিতে অধিক টাকা ব্যয় হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে চার বছর মেয়াদী স্নাতক কোর্সে ভর্তি হতে ১২ হাজার ৭৬০ টাকা জমা দিতে হচ্ছে। এই ফি জমাদানের পরেও প্রতিবছরে প্রায় ৪ হাজার ৫০ টাকা জমা দিতে হয়। এ হিসাব অনুযায়ী স্নাতক কোর্সে চার বছরের জন্য মোট জমা দিতে হবে ২৪ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি বছর হয় ৬ হাজার টাকা হওয়ার কথা।
কিন্তু স্নাতকোত্তর কোর্সে একবছরের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে অনুষদ ভেদে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বাবদ প্রায় ৯ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়া বিভাগ ও ডিন অফিস মিলিয়ে আরো ২ হাজার, বিভাগ ভিত্তিক ক্লাবের জন্য ১ থেকে দেড় হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। সবমিলিয়ে শুধু এক বছরে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতেই প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিশোধ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, ঢাকা, রাজশাহী, ইসলামী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একই ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্র ভিন্ন। এখানে অধিক টাকা ব্যয়ে ভর্তি হতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ২০১৭-১৮ সেশনে ভর্তি হয়েছেন বাংলা বিভাগের জাহিদুল ইসলাম মানিক। তিনি বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা ভর্তি হয়। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে টিউশনি করিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ার খরচ মেটাতে হয়। তারওপর অধিক খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে হচ্ছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, স্নাতকোত্তর ভর্তিচ্ছুদের উপর প্রশাসন অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ভর্তি ফি চাপিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ এ নিয়ে আগেও আন্দোলন করেছে ভবিষ্যতেও এমন যৌক্তিক দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. মোঃ আবু তাহের জানান, “স্নাতকোত্তর ভর্তির ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ফিন্যান্স কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি ফি এর ব্যায়ের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে দেখছে।”