গুরুদাসপুরে শত্রুতার জেরে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে যখম
গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
পৃর্বশত্রুতার জের ধরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাহেদ হাসানকে (১২) পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশি মো. জফের আলীর বিরুদ্ধে (৫৫)। শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মশিন্দা মধ্য চরপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শনিবার ওই ছাত্রের পিতা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত জফের আলী একই গ্রামের হুজুর আলীর ছেলে। আহত ছাত্র সাহেদ হাসান মশিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুল ছাত্র সাহেদ হাসান জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে জফের আলী তাকে বিলে শাপলা তোলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। বাড়ির অদূরে বাছেরের পুকুর পাড়ে যাওয়ার পর জফের তাকে কাঠের বাঠাম দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে যখম করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় জাহিদুল, রফিকুল ও আজিজল তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রবিউল করিম শান্ত বলেন, আহত সাহেদের মুখমন্ডলসহ পিঠে গুরুত্বর আঘাত রয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ওই ছাত্রের পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ছেলে সাহেদ এবং জফের আলীর ছেলে একই বিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করে। একই সাথে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। বেশ কিছুদিন আগে প্রতিবেশি জফের আলীর ছেলের সাথে তার ছেলে সাহেদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই জফের তার ছেলে সাহেদকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তিনি এঘটনার বিচার চান।
তবে অভিযুক্ত জফের আলী বাড়িতে না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের য়োরম্যান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে যখম করার খবর তিনি পেয়েছেন। তবে জফের আলী পৃর্বশত্রুতার জের ধরে স্কুল ছাত্রকে পিটানো ঠিক করেননি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুল ছাত্র সাহেদকে পিটিয়ে যখমের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। তাছাড়া এঘটনায় ছাত্রের পিতার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল