বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ৩৭ রানের হার
স্পোর্টস রিপোর্টার
শুরু থেকেই নাটকীয়তা চলছিল। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুহুর্তটা পারি দেওয়া গেল মুশফিক-মিথুন জুটিতে। এক রানের আক্ষেপে পড়া মুশফিক আউট হলেন ৯৯ রানে। শিতুনও পার করেছিলেন ৫০ এর বৃত্ত। বাংলাদেশের তরী ভিরে ২৩৯ রানে।
সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রথম ওভারে পাকিস্তানি শিবিরে আঘাত হানে মেহেদি মিরাজ। এর পর চির চেনা সেই মুস্তাফিজুর রহমান। তখন মুস্তাফিজ ২ উইকেট আর মিরাজ এক। তিন উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১২ রান। পঞ্চম ওভারে বল করতে আসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। একটি মাত্র রান দিয়ে এ ওভারে তিনি পাকিস্তান দলের রান ধরে রাখেন ২২-এ! তার প্রতিটি বল না মারতে পেরে অসহায় বোধ করে পিচে দাঁড়িয়ে থাকেন সোয়েব মালিক আর ইমাম উল হকের মতো ব্যাটসম্যান।
৭৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের দলীয় রান ১৭৬। ৪৪ ওভারের দ্বিতীয় বলে, রুবেলের বলে হঠাৎ হাত খুলে ৪ হাঁকালেন হাসান আলী। মনে হলো ৬ হয়ে যাবে। কিন্তু হলো না। চতুর্থ বলে একই রকম হিট নিয়ে ধরা পড়লেন মাশরাফির হাতে। ফিরে গেলেন সাজঘরে। এবার নওয়াজের সঙ্গে জুটি বাঁধতে মাঠে নামলেন শাহীন আফ্রিদি। ৪৫ ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুরের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নওয়াজ। সর্বশেষ উইকেট হিসেবে মাঠে নামেন জুনাইদ খান। মুস্তাফিজ পান আরো একটি উইকেট। পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০২ রান।
সব জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারায় ৩৭ রানে। সেই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল