মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
মতিন্দ্র মালাকার (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। হত্যার পর তাকে খোয়াই নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়। বুধবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ঘটনাটি ঘটেছে।
চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। নিহত মতিন্দ্র মালাকার উপজেলার গাভী গাঁও গ্রামের মনোরঞ্জন মালাকারের ছেলে।
নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে কাজিরখিল বাজারে তার সেলুনের দোকান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে সে আর বাড়িতে যায়নি। অনেক জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে স্থানীয় লোকজন খবর দেয় খোয়াই নদীর পাড়ে তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। কে কারা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে।
তিনি বলেন, গত ৫ বছর পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার যুদ্ধাপুর গ্রামের নিরঞ্জন মালাকারের মেয়ে সুমা মালাকারের (২০) সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে নিহত মতিন্দ্র মালাকার।
এরপর দুই পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষের মুরুব্বিদের মাধ্যমে একটি সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এতে কোনো সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে মেয়ের বাবা নিহত মতিন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৩ মাস কারাভোগের পর কিছুদিন পূর্বে জামিনে মুক্তি পায় মতিন্দ্র। নিহতের বাবা দাবি করেন, মতিন্দ্রের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে খোয়াই নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না। তবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটি নিশ্চিত।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল
