বাল্যবিয়ে থেকে স্কুলছাত্রীর রক্ষা

0

মুক্ত অনলাইন ডেস্ক

সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে তাকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় তার মাকে ও বরের বড় ভাইকে একমাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড় পাঁচটায় কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদরের জেলখানা মোড়ের বাসিন্দা ইব্রাহিমের ছেলে হাসান মিয়া (২৫) বিয়ের সমস্ত আয়োজন চলছিল। এ সময় গোপনে ওই এলাকা থেকে এক ব্যক্তি নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমানকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। বিকেল চারটায় আনিছুর রহমান উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুর নাহার তাসমিন ও থানা পুলিশের লোকজন এলে বরের বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছাত্রীর মা ও ছেলের বড় ভাইকে আটক করে। একই সঙ্গে তাকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় তার মাকে ও বরের বড় ভাইকে একমাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুর নাহার তাসমিন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে ছাত্রীটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেন।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.