বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের তালা, ৭ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৭ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় আজ রোববার সকালে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
এদিকে আহত শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সিলেটের বালাগঞ্জের গালিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শনিবার শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করেন।
আহতরা হল- স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী গালিমপুর গ্রামের জগদিশ দাসের পুত্র সৌরভ দাশ, অর্নব দাস, রঞ্জন দাসের পুত্র অনুপ দাস, কর্ণমণি দাসের পুত্র জনি দাস, দ্বিপন দেবনাথের পুত্র দিগন্ত দেবনাথ ও একই গ্রামের আকাশ দাস।
বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রকীব ভূইয়াসহ শিক্ষক নেতারা আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।
আজ রোবাবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবকদের শান্ত করেন এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত শিক্ষার্থী সৌরভ দাশ ও অনুপ দাস জানায়, ক্লাসের পাঠদান সম্পন্ন না করায় শনিবার রত্মা ম্যাডাম (সহকারী শিক্ষিকা) উত্তেজিত হয়ে আমাদেরকে লাইনে দাঁড় করিয়ে বৈদ্যুতিক ওয়ার দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এতে আমরা ৬-৭ জন আহত হই।
গালিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত বৈদ্য বলেন, আমি সকালে স্কুলে গিয়ে সেখান থেকে উন্নয়ন মেলায় চলে যাই। বিকেলে জানতে পেরেছি শিক্ষিকা ৫ম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেছেন।
আহত শিক্ষার্থীর পিতা জগদিশ দাস বলেন, আমি বাজারে যাওয়ার পথে দেখি আমার ছেলে সৌরভ ও অর্নবকে অন্যান্য ছাত্ররা ধরাধরি করে বাড়ির দিকে নিয়ে আসছে। আমার ছেলেরা আমাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় আমি জানতে পারি শিক্ষিকা আমার দুই ছেলেসহ ৭ ছাত্রকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পিঠিয়ে আহত করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকিব ভূইয়া বলেন, হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের দেখে এসেছি। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে দিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল