কোটা বাতিল নয় সংস্কার চাওয়া হয়েছে-

0

মুক্ত অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে  প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ৩০শতাংশ কোটা বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ একাধিক সংগঠন। আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ ও প্রতিবন্ধীরাও ৫ শতাংশ করে কোটার জন্য আন্দোলন করে আসছে।

এদিকে আজ রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন-  প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ফলে যে উদ্ভূত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

বক্তব্যে হাসান আল মামুন বলেন, আমরা সকল সাধারণ ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করি, তাই আমরা সবসময় ৫ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনই কোটার বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোন বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নিবে না। সেই সঙ্গে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। ছাত্রসমাজের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক যে সকল মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ সময় তিনি নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোটা বাতিল নিয়ে সরকারকে আরও ভাবতে বলা হয়। তবে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হলে অবশ্যই আন্দোলনকারীদের ৫ দফার আলোকে করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেন, আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন আকাশ, মশিউর রহমান প্রমুখ।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.