লালপুরে রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজারে আগুন!
নাটোরের লালপুর উপজেলায় রমজান কে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে লাগামহীন হারে। এতে ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষথেকে রমজানে বাজার মনিটরিং না করায় এমনটি হচ্ছে বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের।
শুক্রবার (১৮ মে) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ থেকে সবজিসহ সব প্রণ্যের দাম বেরেছে অস্বাভাবিক ভাবে।
পাইকারী ও খুচরা বাজারে দামের তফাৎ থাকলেও বাজার মনিটরিং টিম না থাকায় এই সব ভোগ্যপণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতা ও ভোক্তাদের।
জানাগেছে, উপজেলার লালপুর, গোপালপুর, ধুপইল, ওয়ালিয়ায় বাজারে রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ, বেগুন, কাঁচা মরিচ, আলু, খেজুর, ছোলা, মুড়িসহ বেশ কয়েকটি পন্যের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ১০ থেকে ৪০টাকা। ভোক্তারা বলছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রথমদিন ৩ টাকা, অন্য দিন ৫ টাকা এই ভাবে গত এক সপ্তাহে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে এই সকল পণ্যের দাম। বাজারে সাধারণ মানের খেজুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ছোলা ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মুড়ি ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০টাকা, আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা। গত দুই দিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ টাকা আজ শুক্রবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুনের দাম বেড়েছে লাগামহীন হারে। গত দুই দিন আগে যে বেগুন প্রতি কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আজ তা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। এমনকি কোনো কোনো বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও যে কাঁচা মরিচ ২দিন আগেও প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকায় বিক্রয় হয়েছে আজ তা ৬০ টাকা কেজি। এমন দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির। দেশি আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, তরই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, শসা ৩৫ থেকে ৪০টাকা, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁরশ ৪০টাক কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম মাত্র ২দিনের ব্যবধানে ৫ থেকে ৩০ পর্যন্ত টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় ক্রেতা ও ভোক্তারা বলেন, ‘গ্রাম অঞ্চলেই সবজি উৎপাদন হয় আর এখানেই যদি এই ভাবে সবজির দাম বৃদ্ধি হয় তালে রমজান মাসে আমাদের বিপাকে পড়তে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফ থেকে বাজার মনিটরিংএর দাবি জানান স্থানীয়রা।’
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন,‘রমজানে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে খাদ্যদ্রব্যের দাম ও ভেজাল মুক্ত খাদ্য নিশ্চতকরনে প্রশাসনের তরফ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে বাজার মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যা খুব দ্রুত উপজেলার বাজার গুলি মনিটরিং করবে বলে জানান তিনি।’