পরকীয়া প্রেমিকের সাথে স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রী
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
স্বামীকে মদ্যপান করিয়ে পানিতে লাশ ভাসিয়ে দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল স্বয়ং স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই হত্যাকাণ্ডের ৭৬দিন পর স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে।
নিহত নেছার মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পশ্চিম হরিয়ারছড়া মৃত নুরুল হকের পুত্র মো. নেছার।
গত ২৫ জুলাই তার লাশ ভাসমান অবস্থায় শাপলাপুর মগপাড়া পাহাড়ী ঢলের স্রোতে পাওয়া যায়। গ্রেফতার হওয়া দুজন হলো- নেছারের দ্বিতীয় স্ত্রী আছিয়া এবং তার প্রেমিক মো. শফি। তাদেরকে লামা উপজেলার ফাইতং গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ৩১ জুলাই নিহতের মা আসমা খাতুন বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা পর থেকেই শফি ও আছিয়া পলাতক ছিলেন।
কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইয়াকুবসহ একদল পুলিশের সহযোগিতায় পাহাড়ের অদূরে জনৈক মোজাফ্ফর আহাম্মদের ভাড়া বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার দুজনকে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ।
গতকাল তাদের মহেশখালী উপজেলা চিপ জুড়িাশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালত এর বিচারক সুশান্ত প্রশাদ চাকমার আদালতে হাজির করা হয়। পরে তারা দুজন ১৬৪ ধারায় অপরাধ শিকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শফি ছিলেন নিহত নেছারের বাল্যবন্ধু, গত ২ বছর ধরে নেছারের দ্বিতীয় স্ত্রী আছিয়ার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরিকল্পনা করে কীভাবে নেছারকে সরিয়ে দেওয়া যায়। নেছারের মদপানকে বেচে নেয় হাতিয়ার হিসেবে।
তারই অংশ হিসেবে ২৪ জুলাই রাতে শাপলপুর মগ পাড়া এলাকায় শফি ও নেছার পরিকল্পিতভাবে মদ পান করে। সেখান থেকে মগ যুবকদের সহযোগিতায় নেছারকে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। তখন মগ যুবকরা নেছারকে মারধর করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পাহাড়ী ঢলে ভাসিয়ে দেয়। সকালে স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা নিহত নেছারের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- শাপলাপুর ৫নং ওয়ার্ডেও পশ্চিম পাড়ার মৃত ছেলামে মং এর ছেলে সেলারী মং, মৃত মাইয়া মং এর ছেলে উলা মং, লোংকা মং এর ছেলে ইয়ার মং, থাইমো মং, হোয়ানক পশ্চিম হরিয়ারছড়া এলাকার সোনা মিয়া প্রকাশ বেইগ্যা, আব্দু শুক্কুরের পুত্র ইছহাক।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ঘটনাটি নানাভাবে অপমৃত্যু হিসাবে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে সত্য কখনো গোপন থাকে না। পুলিশ চেষ্টা করছে আরো ক্লু উদঘাটনে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল