পাঁচ হাজার শিক্ষক আন্দোলণে, দশ মাসের বেতনের দাবি

0

মুক্ত অনলাইন ডেস্ক

কিন্তু টানা ১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। অথচ দুর্গম এলাকায় স্কুলগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নিয়েছেন এসব শিক্ষক। এমন সাড়ে ৫ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) এখন আন্দোলনমুখী।

এমপিওভুক্তি হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হলেও তাতে তেমন অগ্রগতি দেখছেন না তারা। এ কারণে আন্দোলনের বিকল্প দেখছেন না শিক্ষকরা।

৬৪টি উপজেলার দুর্গম দুই হাজার ১১টি স্কুলে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভীতি দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ নামের একটি প্রকল্প থেকে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তারা স্কুলে পাঠদান শুরু করেন।

যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয় পাঠদানের জন্য। এর ফলে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলো সাফল্যও পেয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি গত ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ায়, এরপর থেকে এই শিক্ষকরা বেতন-ভাতা বঞ্চিত। বেতন না পেয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষক হতাশ হয়ে স্কুলে যাচ্ছেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা পরবর্তী প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে গত সোম ও মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে দাবিগুলো তুলে ধরেন। সেকায়েপ এবং সেসিপের আওতায় নিয়োগকৃত অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে গত জুলাইয়ে উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সেকায়েপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে ওই শিক্ষকদের নতুন প্রকল্পে স্থায়ী করার জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে সরকার।

মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্তির উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা শুনেছি, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি দেখছি না। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নামছি।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সেকায়েপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এসিটিদের এমপিওভুক্ত করা হবে তা এসিটি ম্যানুয়ালের ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রোগ্রাম প্ল্যান ২৬ পৃষ্ঠায় সরকারি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে নতুন প্রকল্পে স্থানান্তরের কথা স্পষ্ট উল্লেখ ছিল।

কিন্তু গত ১০ মাসেও আমাদের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে এসব শিক্ষক বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

অপরদিকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্পে রিসোর্স টিচারসহ (আরটি) দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।

শিক্ষক হিসেবে এবং শিক্ষা প্রশাসনে এদের অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ ১৬ বছর পর্যন্ত। এই শিক্ষক-কর্মকর্তারা পরবর্তী প্রকল্পে সরাসরি এবং তাদের পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার দাবি জানান।-সূত্র ইত্তেফাক

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.