চলনবিলে রসুনের বাম্পার ফলন, জিআই পণ্যের স্বীকৃতির দাবি কৃষকদের

মুক্ত প্রভাত ডেস্ক

0 ১৩৩

চলনবিলে এবার রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন পেয়ে খুশি কৃষকদের খুশির শেষ নেই। এখন প্রত্যশা ভালো দামের। শত বছর ধরে চাষ হওয়া এবং  ধারাবাহিকভাবে বাম্পার ফলন হওয়ায় এই ‘সাদা সোনাকে’ জিআই স্বীকৃতির দাবি করছেন কৃষকরা।

এ অঞ্চলের কৃষকরা জানিয়েছেন, সেচ, সার-কীট নাশক, বীজ, শ্রমিকসহ সার্বিক ব্যয় বাড়লেও গত বছর ভালো দাম পাওয়া এবং সাথী ফসল তরমুজ-বাঙ্গিতে লাভবান হওয়ায় রসুন চাষে এই অঞ্চলের কৃষকের আগ্রহ আরও বেড়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে , নাটোরে এবার ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করা হয়েছিল। গত মওসুমে যা ছিল ১৪ হাজার ৬শ হেক্টর। যত দিন যাচ্ছে ততই কাদার ওপর রসুন চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চলতি বছর জমি লীজ বাবদ প্রতি বিঘায় ৮হাজার, সার-কীটনাশক বাবদ ৪ হাজার, বীজ বাবদ ৩০ হাজার, শ্রমিক বাবদ ৬ হাজার টাকা রসুন রোপনে ব্যয় হয়েছে কৃষকের।

চলনবিলের কৃষক ইমন সরকার, মাহবুর, গফুর সরকার, আশরাফুল ও ময়েন উদ্দিন বলেন,  বিনাহালে রসুন চাষ শত বছর ধরে হয়ে আসছে। ফলন ভালো হওয়ায় দিন দিন চাষ আরো বাড়ছে। বাজার দর ভালো থাকায় আর্থিকভাবে লাভবানও হয়েছেন তারা। চলতি মওসুমে খরচ একটু বাড়লেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রসুনের বাম্পার ফলনের আশা তাদের। অর্থকারী এই ফসল জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান তারা। স্বীকৃতি পেলে রসুনের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ আসবে। এতে এই অঞ্চলের কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপপরিচালক বলেন, হালচাষ ছাড়াই বিশেষভাবে পদ্ধতিতে রসুন করায় চলনবিল তথা নাটোর জেলা অন্যতম। দেশের অন্য কোনো এলাকায় বিনাচাষে রসুন আবাদ হয়না। আবার কাদায় চাষ করা রসুনের ফলনও ভালো। তাই নাটোরের রসুনকে জিআইপণ্যের স্বীকৃতি দিলে কৃষকরা রসুন রোপনে আরো উদ্বুদ্ধ হবেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.