বকেয়া বিলে কাটা পড়ছে সংযোগ
দুইটির অধিক বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়লেই কাটা হচ্ছে সংযোগ। সাথে যোগ হচ্ছে গ্রাহকের নামে মামলা। গ্রাহকের বকেয়া বিল উত্তোলন ও নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতেই পল্লী বিদ্যুতের এই অভিযান। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গুরুদাসপুর জোনাল অফিস ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যেমে নিয়মিতভাবে চলাচ্ছে এই অভিযান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,- এপ্রীল মাসের শুরুর দিক থেকে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যায় পর্যন্ত গত দেড় মাসে গুরুদাসপুর উপজেলাজুড়ে প্রায় ১৩শ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সেচ সংযোগ কাটা হলেও কোন শিল্প সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। এই অভিযান চালানো হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যেমে। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাহকদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫০ টি মামলা হয়েছে। মূলত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের অভিযোগে গ্রাহকের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের পক্ষে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন রাজশাহী আদালতের যুগ্ম জজ মোস্তফা কামাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,- গুরুদাসপুর উপজেলায় মোট ৬০ হাজারটি সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প সংযোগ এবং সেচ সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগের বিপরীতে গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ৪ কোটি ১৮লাখ ৪২হাজার ৮৮১টাকা। এর মধ্যে সরকারী বকেয়া রয়েছে ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ২১৬ টাকা। বাকি টাকা গ্রাহকদের বকেয়া রয়েছে। তবে ভ্রম্যমান আদালতের ওই অভিযানে বকেয়া প্রায় ৪০লাখ টাকা আদায় হয়েছে।
তবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুত বিল তৈরিতে স্বচ্ছতা নেই। অনেক সময় অহেতুক বেশি বিল তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া বিদ্যুত বিল পরিশোধসহ অন্যান্য সেবা পেতে বেশ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। তাছাড়া লোডশেডিংতো আছেই। তবে নতুন সমস্যা হচ্ছে ইলেক্ট্রিশিয়ানদের দৌরাত্যে সাধারণ মানুষ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিতুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময়ের বকেয়া। ফলে আদায় করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান আদালত একটি চলমান প্রক্রিয়া।