উপজেলার সেরা বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল

0

আতশবাজি। বেলুন উড়ানো। একে অপরের গালে রঙ মাখানো। নাচ-গান। এ সবই এসএসসি পরিক্ষার ফলাফলকে ঘিরে। যেন বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছে বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরা। কারন এই বিদ্যালয়ই এবছর ফলাফলে উপজেলার শ্রেষ্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
বিদ্যালয়টিতে ২৪জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এরমধ্যে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২২জন মানবিক বিভাগ থেকে ১জন এবং কারিগরি বিভাগ থেকে ১জন এই ফলাফল অর্জন করেছে। বিদ্যালয়টিতে এবছর মোট পরিক্ষার্থী ছিল ১৬৩জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১৫২জন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে হাফসা মীম বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১২১০ নম্বর পেয়ে উপজেলার সেরা শিক্ষার্থীর খেতাব অর্জন করেছে।
গুরুদাসপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে,- গুরুদাসপুর উপজেলার ২৬টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ১শ ৫৮জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ১ হাজার ৭শ ৭০জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৪জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পৌর সদরের বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল ফলাফলে উপজেলার সেরা হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে মোট পরিক্ষার্থী ছিল ১১১জন। পাস করেছে ৯৬জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯জন। এছাড়া উপজেলার নাজিমুদ্দিন স্কুলে ১৪, ধারাবারিষা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৩, নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৩ খুবজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০, দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪, মশিন্দা কারিগরি স্কুলে ৬, বিলশা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১, কাছিকাটা স্কুলে ২জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার ৮২ শতাংশ। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরিক্ষায় অংশ নেয় ২৪৮জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে ১৬০জন। ভোকেশনাল থেকে ৬০৬জন। পাস করেছে ৪শ ৩২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১জন।

বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুলের (বিজ্ঞান বিভাগ) জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী উম্মে হাফসা মীম উচ্ছ্বাসিস কন্ঠে জানায়,- বাব একটি প্রতিষ্ঠানে পিয়ন পদে চাকরি করেন। তার কষ্ট দেখে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বুকে ধারন করে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। তাই ফলাফলেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ অধিক নম্বর পেয়ে উপজেলার সেরা হয়ে বশে ভাল লাগছে। আগামীতেও ফলাফল ধরে রাখার চেষ্টা করবো। এতে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন বাবা-মা ভাই। তাছাড়া শিক্ষকদের অবদানও কম ছিলনা।
ফলাফলের সেরা বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান জানান,- শিক্ষকদের অক্লান্তক পরিশ্রম ও বিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খল নিয়মের কারনে এই গৌরবময় ফলাফল। আগামীতে আরো ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য সকল চেষ্টা অব্যহত রাখা হবে।
গুরুদাসপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান,- মাদরাসার ফলফল হতাশাজনক। তাছাড়া অন্য ফলাফল সন্তোষজনক। তবে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফল আরো ভালো হওয়া উচিৎ ছিল।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.