প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছেন ইবির শিক্ষার্থীরা

0

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা প্রশাসন ভবন অবরোধ করে রাখে তারা।

এসময় তারা ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে আসলে শিক্ষাার্থীরা ভুয়া-ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকে। তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা কথা বলতে রাজি হয়নি। এসময় আন্দোলনকারীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

আন্দোলনের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন,‘আন্দোলনের যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে তার কোন কিছুই এখানে অনুসরন করা হয়নি। মিমাংসিত একটি বিষয়কে ইস্যু করে হঠাৎ করেই কেন ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

জানা যায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে হঠাৎ করেই ভর্তি ফি তিনগুণ বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে শিক্ষা ফিসহ বাৎসরিক অন্যান্য ফি বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। যা আগের শিক্ষাবর্ষে ছিল ৪ হাজার টাকারও কম।

এসব ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ১৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছে এই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম।

ফি বৃদ্ধির এক বছর পরে আন্দোলন হওয়ার পিছনে ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এসব বিষেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন,‘গত বছর ভর্তি ফি বৃদ্ধির সময় আমাদের সামান্য পরিমানে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি অবহিত করে প্রশাসন। কিন্তু তিনগুণ ফি বৃদ্ধি করার বিষয়টি জানা ছিল না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন করছি। এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য নেই।’

তবে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের দাবি,‘ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে দীর্ঘ মিটিংয়ের পরে তাদের সম্মতিতেই গত বছর ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মিমাংসিত ইস্যু নিয়ে কেন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

আন্দোলনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন,‘গতবছর সীমিত পরিমাণে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের কল্যাণেই। আর বিষয়টি মিমাংসিত এবং বাস্তবায়িত।’

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.