পালক নেওয়া শিশুটিকে ঝলসে দিয়েছে গৃহকর্তী

0

মুক্ত অনলাইন ডেস্ক

শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলছে গেছে। তপ্ত যন্ত্রণায় মাঝে মাঝেই চিৎকার করছে শিশু প্রিয়াংকা (৬)। শরীরজুড়ে রয়েছে মারাত্মক আঘাতের চিহৃও। এখন সে দগ্ধ শরীর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তাকে ভর্তি করিয়েছেন প্রতিবেশী জোহরা বেগম।

তিনি মুক্ত প্রভাতকে জানালেন- বাবা-মা হারানো শিশু প্রিয়াংকাকে পালক নিয়েছিলেন শাহানা আক্তার। তারপর থেকে প্রিয়াংকা শাহানা আক্তারের কাছেই থাকে। শাহানা বাংলা সিনেমার পাশ্বচরিত্রে অভিয়নও করেন। সেই সুবাদে ঢাকাতে যাতায়াত করেন তিনি। শাহানার বাড়ি সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে। সেখানেই শিশুটির ওপরে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।

জোহরা বেগম বলেন- ‘কয়েক দিন আগে শাহানা ঢাকা থেকে ফেনীর বাড়িতে আসেন, প্রিয়াংকাও তার সঙ্গে আসে। ঘটনার দিন সোমবার রাতে কোনো একসময় শিশুটির ওপর শাহানা নির্যাতন চালান। পরদিন মঙ্গলবার বিকালে শাহানার বাড়ি থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি স্বামীকে নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে প্রিয়াংকাকে আহত অবস্থায় দেখেন।

পরে তিনি এবং স্বামী মিলে প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। প্রিয়াংকার বরাত দিয়ে জোহরা আরও বলেন, সোমবার রাতে লাঠি দিয়ে পেটানোর পর একপর্যায়ে শাহানা শিশুটির শরীরে গরম পানি বা তেলজাতীয় কিছু ঢেলে ঝলসে দেন। নির্যাতন করেই খ্যান্ত হননি। শিশুটিকে ঘরে আটকেও রাখেন।

ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফৌজুল কবীর বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যাওয়ায় ওর কিডনি ঝুঁকিতে রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া দরকার। কিন্তু অভিভাবক না থাকায় আপাতত এখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তবে এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শাহানা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান- পালক শিশুটির ওপর কারণে-অকারণে ওপর নির্যাতন চালাতেন তিনি শাহানা।

ফেনী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জোহরা বেগম নামে প্রতিবেশী এক নারী মঙ্গলবার বিকালে প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ মধ্যরাতে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্ত্রী শাহানা আক্তারকে আটক করেন।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.