কুবির অনুমোদিত ক্যাম্পাসটি কোথায় হবে…?
কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন একটি ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর জন্য ২০০.২২ একর ভূমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদন হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা। তবে রয়েছে শঙ্কাও। কারন বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন জানিয়েছে পুড়নো ক্যাম্পাস থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নতুন ক্যাম্পাসটি নির্মাণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন- অধিগ্রহনকৃত জায়গায় নতুন ক্যাম্পাসটি নির্মীত হলে বাস্তবতায় পুড়নো ক্যাম্পাসের দুরুত্ব হবে প্রায় ৭ কিলোমিটার। তাহলে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীরা কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করবে। এমন প্রশ্নের আশানুরুপ জবাবও পাওয়া যাচ্ছেনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ হলে পুড়নো ক্যাম্পাসের কি হবে তার খোলাসা কোন জবাবও নেই।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের মুক্ত প্রভাতকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ৭০ একর ভূমি অধিগ্রহণ চেয়ে প্রকল্প প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু পরিকল্পনা মন্ত্রী তা আরও বাড়িয়ে প্রকল্প প্রস্তুত করতে বলেন। একারনে ২০০.২২ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে অধিগ্রহণের মতো না থাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজারখলার ৭, ৯, ১২ ও ১৩ নম্বর মৌজার ২০০.২২ একর জমি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন ধরণের হাত ছিল না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানায়- গত ২৩ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১ তম সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় অনুমোদিত অর্থের বেশিরভাগই ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রজেক্টের আওতাধীন ভূমি অধিগ্রহণে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৭, ৯, ১২ এবং ১৩ নম্বর মৌজার অন্তর্ভুক্ত জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ১২ ও ১৩ নম্বর মৌজা হচ্ছে রাজারখলা গ্রামের মৌজা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে।
তবে বুধবার (২৪ অক্টোবর) প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখিত অধিগ্রহনকৃত জমির বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলেননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ স্থান মূলত কোথায় এবং নতুন ক্যাম্পাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে কিনা শিক্ষার্থীদের মধ্য এমন কৌতহল বিড়াজ করছে। তারা বিষয়টি খোলাসা করার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল