অা’লীগ কাউকে ভয় পায় না- জয়
আরাফাত হোসাইন অভি
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি-সুশীল-জামায়াত এক হয়েও এখন বাংলাদেশের কোনো শক্তি নাই আওয়ামী লীগকে ভোটে হারাতে পারে। আওয়ামী লীগের কোনো ভয় নাই। দেশ এগিয়ে এসেছে, দেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে আছে।
আওয়ামী লীগ এখন কাউকেই ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক দল। এ দল মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তাই ওই সুশীলদের হুমকিতে আওয়ামী লীগের কোনো যায় আসে না।
শনিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এই যে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিএনপির জোট করেছে, তারা নাম দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না- এই যাদের কোনো রাজনীতির পরিচয় নেই। যাদের নামও আমি জানি না।
তারা এখন বিএনপির সঙ্গে হাত মেলালো। ২১ আগস্টের পরিকল্পনাকারী ও হুকুমদাতা তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে সামরিক বাহিনী। কিন্তু কারা তাকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন-এই ঐক্যফ্রন্টের লোকজন।
জয় বলেন, এই মইনুল হোসেনই তারেক রহমানকে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। তখন থেকে তারা তারেক রহমানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বসে আছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এই কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মইনুল হোসেন সেই ১/১১ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে যড়যন্ত্রে যুক্ত। এটা আজকে প্রমাণিত হলো। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা দেওয়ারও ওয়াদা করেন জয়। জয় আরও বলেন, আমি জরিপ করে দেখেছি, বাংলাদেশের মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেই।
তিনি বলেন, ‘যারা মানুষ হত্যা করে, যারা জঙ্গির পৃষ্ঠপোষক, যারা ২০১৩ সালে আমাদের দেশের শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আমরা অবশ্যই তাদেরকে গ্রেপ্তার করব। এখানে কোনো ছাড় হবে না। যারা ২১ আগস্টের হত্যাকারীদের সাথে হাত মেলাবে, সেই ষড়যন্ত্রের সাথে জাড়িত অবশ্যই আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করব।’
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি বিএনপির মতো হতো, তাহলে আমরা আদালতে যেতাম! আজকে যদি আমার চরিত্র তারেক রহমানের মতো হতো, তাহলে কি আজকে বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র জেলে থাকতেন? না। এই কথা তাদের মনে রাখা উচিত। আমাদের চরিত্র তাদের মতো না। আমরা খুনি না। আমরা সন্ত্রাসী দল না। স্বাধীনতার দল।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক মেসবাহ কামাল, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সূচিন্তা ফাউরেন্ডশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল