ব্যাক্তিগত চালকদের মুখে-শরীরে পোড়া মবিল লাগাচ্ছে শ্রমিকরা
মোঃ ইলিয়াছ মোল্লা
নিরাপদ সড়ক আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন চেয়ে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি চলাকালে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খল আচরণ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এ সময় তারা দলবেঁধে ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। গাড়ি বের করার অপরাধে তাদের শরীরে ও মুখে পোড়া মবিল ঢেলে দিচ্ছেন।
ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালকদের ওপরও চড়াও হচ্ছেন শ্রমিকরা। এমনকি শ্রমিকদের এমন নৈরাজ্যের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও। সংঘবদ্ধ শ্রমিকরা বেসরকারিভাবে চলাচলকারী গাড়ি আটকে দিচ্ছেন। ফলে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মস্থলগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ পরিবহন না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে রওনা দেন। কেউ কেউ ভ্যান রিকশা করে কর্মস্থলে ছুটছেন।
এদিকে উত্তরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় সকল পরিবহনের কাউন্টার গুলো বন্ধ করে রেখেছে কাউন্টারের সামনে নেই কোনো যাত্রী
এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা এই কর্মসূচিকে কর্মবিরতি বললেও রবিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বাসটার্মিনালগুলোর আশপাশে ধর্মঘটের সমর্থনে তাদের উশৃঙ্খল আচরণ চোখে পড়ে। বিশেষ করে সায়েদাবাদ, গাবতলী, গুলিস্তান ও মহাখালী বাসটার্মিনাল ও আশপাশের এলাকায় তারা দলবদ্ধভাবে প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি অনেক যাত্রী ও চালকের মুখ, কাপড়ে গাড়ির ব্যবহৃত ইঞ্জিন অয়েল (পোড়া মবিল) লাগিয়ে দেয় তারা।
গাবতলী ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেন, পরিবহনশ্রমিকরা গাড়িগুলোকে পথে আটকে দিচ্ছে। সকাল থেকে অনেকগুলো বাস ছাড়া হলেও সেগুলো পথের বিভিন্ন জায়গায় আটকে আছে।
এরআগে গত শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবহন শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অপরদিকে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল