ছাত্রীর গায়ে পোড়া মবিল দিল পরিবহন শ্রমিকরা

0

মুক্ত অনলাইন ডেস্ক

পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা। দাবি সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংস্কারের। আজ রোববার সেই কর্মসিূচিই পালন করছেন শ্রমিকরা। কিন্তু একটু ভিন্ন মাত্রায়। ব্যাক্তিগত গাড়ি চালকদের শরিরজুড়ে পোড়া মবিল মুখেও মেখে দেওয়া হয়েছে।

আজকের এই পরিবহন ধর্মঘটে পরিবহন না পাওয়াটা যে দূর্ভোগ বয়ে  এনেছে। তার চেয়ে বড় দূর্ভোগ হলো নিজের পরিবহন নিয়ে চলতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় পোড়া মবিল লাগানো হয়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ধবধবে পোশাকে। এনিয়ে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮- এর কয়েকটি ধারা সংস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট চলছে।

ধর্মঘটের প্রথম দিন রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে অফিসগামী যাত্রী আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের বহন করা বাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা। একই সঙ্গে চালক ও ছাত্রীদের গায়ে পোড়া মবিল লাগিয়ে দিয়েছেন।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইল এলাকায় একটি পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে। একই সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী না থাকায় পোড়া মবিল লাগিয়ে দেন শ্রমিকরা।

এক অ্যাম্বুলেন্সের চালক আব্দুল্লাহ জানান, রোগী আনতেই তিনি যাচ্ছিলেন। রোগী আনতে গেলে তো খালি যেতে হবে। কিন্তু শ্রমিকরা সেই কথা না শুনেনি। শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় শ্রমিকরা তাদের বাসটি থামিয়ে চালককে মারধর করেন। এরপর চালকের মুখে ও শরীরে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেন।

পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কয়েকজন ছাত্রীকেও পোড়া মবিল লাগিয়ে দেন শ্রমিকরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। পরে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে বাস থেকে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বাসটির চালক মজিবর রহমান বলেন, বাসটিতে ৩৮ জন ছাত্রী ছিল। ছাত্রী বহনকারী বাসটি সাইনবোর্ড এলাকায় এলেই হামলা করে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করেন শ্রমিকরা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সারা দেশে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সড়ক পরিবহন আইন পাস করে সরকার। কিন্তু ওই আইনের কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবি তুলেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

তাদের দাবিগুলো হলো- দুর্ঘটনায় চালকের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল করা, চালকের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণির পরিবর্তে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত করা, সড়ক দুর্ঘটনার সব মামলা জামিনযোগ্য করা, ৩০২ ধারার মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা,ওয়ে স্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল এবং গাড়ি নিবন্ধনের সময় শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিনিধির প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করা, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.