যশোরে আটক বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতা কর্মী
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
যশোরের অভয়নগরে ৩০ দিনের ব্যবধানে বিএনপি-জামায়াতের ১৫২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে আবারও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আমলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ মামলায় নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের কয়েকজন হলেন, উপজেলার বারান্দি গ্রামের হামিদ মোল্যার ছেলে কওছার মোল্যা (৫৫), সরখোলা গ্রামের সাঈদ সরদারের ছেলে রাজু সরদার (৩০), কাদিরপাড়ার আব্দুল ওহাব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) ও কোটা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মেহেফুজ বিশ্বাস (৩২)।
ধোপাদী গ্রামের হারুন অর রশিদ (৩৭) চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মাসুদ রানা, নওয়াপাড়া গ্রামের বাকীউজ্জামান রানা, একই গ্রামের আতাউর রহমান, লিটন, সাইদুর সরদারসহ নয়জন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার এসআই মিলন কুমার জানান, গত ২৮ অক্টোবর রাতে উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিএনপি-জামায়াতের নের্তৃত্বে ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
যে ঘটনার ওই রাতে ১৫২ জন হামলাকারীসহ অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ৪/৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ১৮। গত ২৪ ঘন্টায় এ মামলার ৯জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আটককৃতদের যশোর আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া বাজারে যুবলীগ কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। যার মামলা নং-২৯।
মামলায় অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক মোল্যা, ভাইস চেয়ারম্যান ইমাদ উদ্দিন গাজী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৬৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল