দানের টাকায় ভড়বে কি পেট….!
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
পথে ঘাটে হাতি দিয়ে টাকা তুলতে দেখা যায়। এটাকে স্বাভাবতই মানুষ হাতি দিযে চাঁদাবাজির কথা বলে থাকেন। পত্রপত্রিকা অনেক সংবাদও প্রকাশ পেয়েছে এই হাতি দিয়ে চাঁদাবজির। প্রকৃতপক্ষে দিন শেষে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করে যে টাকা উঠে তাতে কি হাতির পেট ভড়ে….?
প্রশ্নটা একটু অবাক করার মতোই। প্রশ্নের জবাব দিলেন হাতির মামর (স্থানীয় ভাষা)। তিনি জানালেন- একটা হাতির পিছনে যে পরিমান খরচ হয় তা একেক দিন একেক রকম। হাতিকে অনেক কিছু খেতে দিতে হয়। অনেক ব্যয়বহুল বিষয়টি। তবে লোকে যে চাঁদাবাজি বলছেন- সেই চাঁদার টাকায় হাতির পেট-ই ভড়ে না। অথচ নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি’।
তিনি বলেন- কোন সার্কাস থেকে গন্তব্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সড়কে গাড়ি থামিয়ে বা দোকান পাটে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়। অনেকেই কৌতুলবসত দুই পাঁচ টাকা দান করে থাকেন। দিন শেষে যা উঠে তা হাতির প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল্য।
‘আমরা সবার বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংঘে’র তথ্য প্রচার সম্পাদক মো. মিলন সরকার জানালেন- হাতি দিয়ে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি কোনভাবেই চাঁদাবাজির পর্যায়ে পড়েনা। কান মানুষ তো বেশিরভাগ সময় অর্থ ব্যায় করে চিরিয়াখানায় গিয়ে হাতি দেখে। অথচ সেই হাতিই কিন্তু মনুষের দৌগায়। সুতারাং কৌতহল বসত অনেকই মানুষ-ই হাতি দেখে টাকা দিয়ে থাকেন। তবে অব্যশই এসব প্রাণি দিয়ে টাকা উত্তোলন করা উচিৎ নয়।
লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা জানান- নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া বাজরের প্রতিটি দোকানে ও পথচারীদের কাছ থেকে দুইটি হাতি দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতে দেখা গেছে। আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে দুইটি হাতি নিয়ে দোকন পাট ও পথচারীদের কাছ থেকে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা করে উত্তোলন করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় দোকানী ফারুক হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে দুইটি হাতি এসে দোকানের সামনে সুঁর এগিয়ে দিয়েছে। তার অঙ্গভঙ্গিতে স্পট বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা দাবি জানাচ্ছে হাতিটি।
দোকান থেকে টাকা তোলার ব্যপারে হাতির বাহক খলিল বলেন- ‘যে টাকা তুলছি এতে হাতির খাবার হওয়াই কঠিন। বাঁচলে আমরাও খাবো।’
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল