১০ লাখ টাকাসহ রাজশাহীতে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
প্রায় ১০ লাখ টাকাসহ রাজশাহীর সিটি হাট থেকে গরু ব্যবসায়ী জিয়ারুল হক বাবু (৩০) নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত থেকে ওই ব্যবসায়ীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে নিখোঁজের প্রায় তিন ঘণ্টা পর তার ব্যবসায়ীক পাটনার নীলসাদের মোবাইলে ফোন দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। এরপর তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। নিখোঁজ জিয়ারুল হক বাবুু কাটাখালি থানার চরখিদিরপুর এলাকার জার্মান আলীর ছেলে। বাবুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ভগ্নিপতি আব্দুল গাফ্ফার।
এ বিষয়টি নগরীর শাহ্ মখদুম ও কাটাখালি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। গাফ্ফার বলেন, রবিবার সকাল ১০টার দিকে ১২টি মহিষ নিয়ে সিটি হাটে যায় বাবু। তার সঙ্গে ব্যবসায়ীক পার্টনার সবুর, আসাদুল, নীলসাদ ছিল।
সন্ধ্যার মধ্যে তারা ১২টি মহিষ বিক্রি করে। এরপর থেকে বাবুকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রশাসনের লোকজন বাবুকে নিয়ে গেছে বলে শাহ্ মখদুম ও কাটাখালি থানায় গিয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়। তবে তারা বিষয়টি কিছু জানাতে পারেনি।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে থানায় জিডির প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান আব্দুল গাফ্ফার। বাবুর ব্যবসায়ীক পার্টনার নীলসাদ বলেন, ১২টি মহিষ বিক্রয়ের ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা বাবু কাছে ছিল। বাড়ি ফেরার জন্য মোবাইল ফোন নিতে সম্রাটের দোকানে যায় বাবু।
ওই দোকানে তার মোবাইল চার্জে দেয়া ছিল। কিন্তু এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নীলসাদ আরও বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে বাবুর মোবাইল নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে। ফোন ধরার পর বাবু কাঁদতে কাঁদতে বললেন আমার টাকা কেড়ে নিয়েছে সব।
আমাকে মেরে ফেলে দিল, আমাকে বাঁচাও। এটুকু কথার বর মোবাইল কেটে যায়। তারপর থেকে বাবু মোবাইল ফোন বন্ধ। তবে অটো রেকর্ড থাকার কারণে বাবু কথাগুলো তার মোবাইলে রেকর্ড হয়েছে।’ এ ধরণের কোন ঘটনার খবর তাদের কাছে কেউ জানান নি বলে জানিয়েছেন সিটি হাট মালিক আতিকুর রহমান কালু।
তিনি বলেন, ‘রাত ১১টা পর্যন্ত আমি হাটে ছিলাম। কিন্তু এ ধরণের কোন ঘটনার কথা কেউ জানায়নি।’ শাহ্ মখদুম থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাইনি।
তবে গণমাধ্যম কর্মীরা তার কাছে জানতে চাওয়ার পর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কাটাখালি থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, তার এলাকার একজন গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনার ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীরা খোঁজ খবর নিচ্ছিল। তবে থানার কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল