মামলার বাদী ও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য এজাহারকারী ও মামলা রেকর্ডকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ প্রদান করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী। আজ সেশন ৫৭/২০১৮ নং মামলার রায় প্রদান করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর থানার চরসালিমপুর গ্রামের মৃত পঞ্চানন্দ কর্মকারের স্ত্রী সুচিত্রা কর্মকারকে তার পুত্র আসামি সুশান্ত কর্মকার ও পুত্রবধূ সুবর্ণা কর্মকার ঠিকমত খাবার না দিয়ে গালমন্দ করতো এবং বিষ খেয়ে কিংবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দিতো।
এ অভিযোগে আসামি শ্রী সুশান্ত কর্মকারের মামাতো ভাই চিত্তরঞ্জন কর্মকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে আসামি সুশান্ত কর্মকার ও তার স্ত্রী সুবর্ণা কর্মকারের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন, যার নং ৫৭, তারিখ ২৮/৬/২০১৭ (জি.আর- ২৮৬/২০১৭ ও সেসন- ৫৭/২০১৮)।
এ মামলার অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় আসামিদের খালাস দেন আদালত। একই সাথে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য পেনাল কোড- ১৮৬০ এর ২০৩ ধারায় এজাহারকারী শ্রী চিত্তরঞ্জন কর্মকার ও দৌলতপুর থানার তত্কালীন মামলা রেকর্ডকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করেন।
জেলা ও দায়রা জজ রায় ঘোষনাকালে অভিমত ব্যাক্ত করেন যে, কেউ মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করলে এবং জেনে শুনে পুলিশ মিথ্যা মামলা রেকর্ড করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আবশ্যক।
এ ব্যাপারে পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, কেউ মিথ্যা মামলা করলে তার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়াই হবে সেই সাথে থানায় মিথ্যা মামলা করলেও সেই সব অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজকের রায়ে সরকারী কৌশুলী হিসেবে তারা সফল। এতে করে মিথ্যা মামলার প্রবণতা কমে যাবে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল