নোবিপ্রবি ভর্তি পদ্ধতির পরিবর্তন
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
ভর্তি পরিক্ষায় যেখানে অতিথি আপ্যায়নে, ভর্তি পরিক্ষার্থীদের সহায়তায় অনন্য নজির গড়েছে নোয়াখালীর মানুষ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। সেখানে ভর্তি কার্যক্রম কেন্দ্রিক শুরু হয়েছে নানা জটিলতা ও নিয়ম বহির্ভূত সিদ্ধান্ত ।
গত ৪নভেম্বর থেকে চলছে নোবিপ্রবি’র ৬টি ইউনিটে মোট ১৩২০আসনে ভর্তি কার্যক্রম। নিয়ম অনুসারে প্রতি ইউনিটে মেধাক্রম অনুসারে বিষয়ভিত্তিক ভর্তি করানো হয়। ‘এ’ ইউনিট এ ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালালেও, ‘বি’ ইউনিটে কোটাবাদে ২৮৮আসনের বদলে ভর্তি নেয়া হয় ৩৬৩জনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাকারী টিম ও ডিসপ্লে তে এটি নিশ্চিত করে দেখানো হয়। ভর্তি কার্যক্রম চালাকালীন ইএসডিএম, জুয়োলোজি, বায়োটেকনোলজি বিভাগগুলোতে যথাক্রমে ৪০, ৪০ ও ৫টি আসনে বৃদ্ধি করে ভর্তি নেয়া হয়।
হঠাৎকরে পূর্বঘোষিত নোটিশ ছাড়া ভর্তির দিন এভাবে সিট বাড়ানোয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজিবের মতে, “ব্যাপারটি হাস্যকর! কারণ, এভাবে সিট বাড়িয়ে ভর্তি নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও সুনাম দুটিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।”
অপরদিকে, ‘ডি’ ইউনিটে(সমন্বিত) ২৬০টি আসনের বিপরীতে ৪০১টি আসনে ভর্তি নেয়া হয়। এর আগেও ‘ডি’ ইউনিটে ভর্তির আগে হটাৎ বিভাগ ভিত্তিক আসন বন্টন এ পরিবর্তন আনা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “বিষয়টি লজ্জাজনক, আমরা দিনদিন বাজেভাবে বাংলাদেশে উপস্থাপিত হচ্ছি, এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমকে সবাই ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখবে।”
ক্যাম্পাসে অসন্তোস ও ভর্তি কার্যক্রম এ হটাৎ আসন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সচিব ও রেজিস্টার প্রফেসর মমিনুল হক বলেন, ” আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকে ভর্তি হয়না, আমরা এই জন্য আসন বৃদ্ধি না করে বেশি করে ভর্তি নিচ্ছি যেন পরবর্তীতে কেও চলে গেলে সিট ফাঁকা না থাকে, এতে অসন্তোষের বা মান নিয়ে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগতো দেখছিনা। ”
সবকিছু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল গ্রুপ ও শিক্ষার্থীদের টাইমলাইনগুলোতে নানারকম প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একেকজন একেক রকম মন্তব্য করছে কেও বলছে, “নোবিপ্রবি কাওকে হতাশ করেনা”; কেও বলছে ” আসো তোমাদের দুমুঠো ভরে দিবো”; কেও কেও বলছে, “ভবিষ্যতে নোবিপ্রবির নামে একটা ট্রেন্ড চালু হবে যে এখানে ভর্তি পরিক্ষা দিলেই টিকা সম্ভব।”
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল