
গলায় ফাঁস দিয়ে তিন প্রাণহানি
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় শনিবার সকালে আসমা বেগম(২৫) নামের এক গৃহবধূর নিজ ঘর হতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের পূর্ববোড়াগাড়ি এলাকার খোরশেদ আলম মিনজিলের (৩৫) স্ত্রী। স্ত্রীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার সন্দেহে স্বামী খোরশেদ আলমকে এলাকাবাসী আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বিকালে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। গাইড বই কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শাহানা আক্তার নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মাহত্যা করেছে। সে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বেতগাড়া বাবুপাড়া এলাকার আমিজ উদ্দিন সাদার মেয়ে এবং হলহলিয়া আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
কোন অভিযোগ না থাকায় শনিবার সকালে লাশের নামজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় অনিতা রানী (২৩) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাগডোগড়া এলাকারর প্রমথ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।
অনিতা রানীর মৃত্যুতে সন্দেহ থাকায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মোকছেদ আলী জানান, আসমা বেগম ও অনিতা রানীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আসমা বেগমের হত্যাকারী সন্দেহে তার স্বামী খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত ও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফন করার জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল