এরদোয়ানের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ!

0

১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করতে এরদোয়ানকে অনেক জটিল সমস্যা ফেস করতে হবে। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার কারনে দেশেই কিছু এলিট ও বুদ্ধিজীবি মহল একনায়ক তন্ত্রের প্রশ্ন তুলবে এবং তাতে বাতাস দিবে আন্তর্জাতিক মোড়লরা।

অধিকাংশ মিডিয়া সমালোচনায় পঞ্চমূখ হবে।
ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্রকারী ও মিডিয়ার প্রপাগান্ডা শুরু হয়েগেছে। বিজয়ের নিউজ করতে অনিহা দেখা গেছে বিশ্বের প্রধান মিডিয়া গুলোর। অথচ পরাজয় হলে তোলপাড় করা নিউজ হতো।

বিরোধী জোট আস্তে আস্তে শক্তি সঞ্চয় করবে। সেকুলার, নতুন নেতৃত্ব ও আধুনিকায়নের ধুয়া তোলা হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে কুর্দীর মত জটিল বিষয় আছে। নির্বাচনে কুর্দীদের ১০% এর উপরে পাওয়া সাধারন ব্যাপার না। এসকল বিষয়ে সমর্থন দিবে আমেরিকা, ইসরাইল। যা ইতি পূর্বে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে দেখা গেছে।

ভুলে গেলে চলবেনা তুরস্কের অর্থনীতির যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছিলো, তা হালে কিছুটা থমকে গেছে ফিলিস্তিন ইস্যুর কারনে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১২ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। তুরস্কের মুদ্রা লিরার মূল্যমান এবছর ২০ শতাংশ পড়ে গেছে। অথচ এরদোয়ানের হাতেই ঋণ মুক্ত শক্তিশালী গড়ে উঠেছে।

জেরুজালেম নিয়ে আমেরিকার সাথে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতির সম্ভাবনা আছে। আর ইসরাইলের সাথে তো কথাই নেই। উল্যেখ আমেরিকার সাথে দীর্ঘ দিনের সামরিক বন্ধুত্ব আছে তুরস্কের। ইসরাইলের সাথে চুক্তি থাকায় ফিলিস্তিনে সহযোগীতা ও চাপের ক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ হয়েছে এরদোয়ানের জন্য।

তুরস্কের সেনাবাহিনী নেটো জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাহিনী।

তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সদস্য পদপ্রার্থী।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, কুর্দি সমস্যা, ইরাক-সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই, অভিবাসী সংকট – ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব ক্ষেত্রে আমেরিকা ও ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা আছে।

একদিকে তুরস্ককে বিশ্বের দরবারে শক্তিশালী হিসাবে দাড় করানোর চ্যালেঞ্জ অন্য দিকে নির্যাতিত মুসলিম দেশের জন্য ভূমিকা রাখা খুবই দূরহ ব্যাপার। দেশ গড়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মজলুমের পাশে দাড়ানো; এগুলো করতে হবে সমন্বয়ের মধ্যমে। একগুয়েমো করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কোন ক্রমেই নষ্ট করা যাবে না।

এরদোয়ান এখন বিশ্ব মানের নেতা হবার কারনে তাঁর প্রতি দেশসহ বিশ্ব মজলুমের প্রত্যাশও বেড়ে গেছে।

বড় যে বিষয় তা হলো দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকলে অধিকাংশ নেতা একনায়ক হয়ে যায়। এটা মাথায় রেখে এরদোয়ানকে আরও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিতে হবে। তাঁকে মনে রাখতে হবে ৫৩% মানুষ সমর্থন দিয়েছে কিন্তু ৪৭% ভোট তার বিরোধী বাক্সে।

এরদোয়ানকে এটা মাথায় রাখতে হবে তাঁর দায়বদ্ধতা বেড়ে গেছে। পাশাপাশি তাঁর শত্রুও অনেক গুন বেড়েছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.