কি দেখালেন তিন ‘ম’
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের একজন হয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে সাদা পোশাকে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ মুমিনুল হক। আবার মেহেদি হাসান মিরাজ অর্ধশত রান পার করেছেন।
তবে ইতিহাস থেকে আরেক ‘ম’ কে পাওয়া গেল। সেই ‘ম’ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক আগেই। তিনি মেহরাব হোসেন অপি। মুশফিক-মুমিনুল অনেকদিনের সতীর্থ হলেও মেহরাবের সঙ্গে তাদের যোগসূত্রটা তৈরি হয়েছে ইতিহাস গড়ায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেসব ইতিহাস।
১৯৮৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩ বছর। ১৯৯৯ সালে অপেক্ষার শেষ করে মেহরাব হোসেন অপে।
ঢাকায় মেরিল ইন্টারন্যাশনাল কাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাঁকান দেশের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন সব মিলিয়ে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১০১।এরপর আবারও ১৪ বছরের অপেক্ষা। সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি, মানে দেশের ৫০তম সেঞ্চুরির নায়কও হলেন একজন ‘ম’।
তিনি মুশফিকুর রহিম। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০তম সেঞ্চুরিটি তুলে নিয়েছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল। আর দেশের শততম সেঞ্চুরিটি এল আরেক ‘ম’ এর হাত ধরে।
প্রতিপক্ষ সেই জিম্বাবুয়ে। গতকাল রোববার চলতি ঢাকা টেস্টে ১৬১ রানের ইনিংস খেলে দেশের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেললেন মুমিনুল হক। মুশফিকের ২১৯* রানের ইনিংসটি হলো ১০১তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
বুঝুন অবস্থা! সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়ার ক্ষেত্রে ‘ম’ দের আধিপত্য। তবে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরির আরও দুটি ইতিহাসে জড়িত হয়ে আছেন একজন ‘আ’ এবং অপরজন ‘ত’। হ্যাঁ, ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে দেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
আর টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরির মালিকের নাম তামিম ইকবাল। দেশসেরা ওপেনার। মজার ব্যাপার হলো, দুজনের নামের বানানেই কিন্তু ‘ম’ বর্ণটির উপস্থিতি আছে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল