গৃহবধূর শরীরজুড়ে স্বামীর নির্যাতনের শত চিহৃ

0 ১০

শরীরজুড়ে আঘাতের চিহৃ-কালশিরা। মুখের একটি দাত ভেঙ্গে গেছে। উঠে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। আঘাতের জায়গাগুলোতে অসহ্য যন্ত্রণা। যন্ত্রণায় ক্ষণে ক্ষণেই কেঁদে উঠছেন। এমন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ কাজলী বেগম (৪৫) হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।
স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক না দেওয়ায় শশুর বাড়িতে এভাবেই তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন স্বামী ও সৎ মেয়েরা। এঘটনায় গৃহবধূর স্বামী রায়হান আলীসহ (৫০) সৎ চার মেয়েকে অভিযুক্ত করে বুধবার দুপুরে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতীত গৃহবধূর পিতা আবেদ আলী মুন্সি।

যৌতুকের ১ লাখ টাকা দেওয়ার পরও আরো টাকার জন্য মাঝে মাঝেই চলতো অমানুষিক নির্যাতন। এতো কিছুর পরও স্বামীর ঘর ছারেননি তিনি। সামাজিকতার ভয়ে সব নির্যাতন সয়েই কাজলী বেগম স্বামীর ঘর করছিলেন। সর্বশেষ তাকে যৌতুকের জন্য বেদরক মারপিটের এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তিনি বেহুস হয়ে পড়েছিলেন। পরে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে শুয়ে এসব নির্মম নির্যাতনের কথা জানাচ্ছিলেন গৃহবধু কাজলী বেগম।

ওই গৃহবধূ আরো বলেন, স্বামীর প্রথম পক্ষের চার মেয়ে থাকা অবস্থাতেই তার সাথে ছয় বছর আগে ধারাবারিষা গ্রামের রায়হান আলীর বিয়ে হয়। তাদের বাড়িও একই গ্রামে। সম্মপত্তির ওয়ারিস হবে এ জন্য কয়েক বার জোরপূর্বক তার গর্ভের ভ্রুনও নষ্ট করেছেন স্বামী ও সৎ মেয়ে। একারনে তার শারিরিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. রবিউল করিম শান্ত জানান, ওই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর আঘাতের চিহৃ রয়েছে। শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় রক্ত জমে কালশিরা হয়েছে। সুস্থ্য হতে বেশ কিছুদিন দেরি হবে।

গৃহবধুর পিতা আবেদ আলী মুন্সি বলেন, স্ত্রী সন্তান থাকা স্বর্তেও জামাই রায়হান আলীর পিরাপিরিতেই যৌতুকের টাকা দিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। অথচ জামাই মাঝে মাঝে মেয়েকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে এবং গর্ভের ভ্রুন নষ্ট করেছে। এখন তিনি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী স্ত্রীর ঘটনা এজন্য মামলা হয়নি।

মুক্তপ্রভাত/রাশিদুল ইসলাম

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.