স্বজনহারাদের শুধুই আর্তনাদ-ফিসিং বোট ডুবি

0
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মাছ ধরতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৮ জেলে। বেঁচে ফিরেছেন ৯ জেলে। পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষগুলোকে হারিয়ে এখন নিরব নির্বি কার তাদের পরিবার। স্বজন হারা এসব পরিবারকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই কারো। এসব পরিবারে চলছে কেবলই আর্তনাদ।
মৌসুমি ঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এফবি মারিয়া-১ নামের ফিসিং বোট ডুবে নিহত শরণখোলার ৮ জেলে পরিবারে  চলছে শোকের মাতম।  ওই ট্রলারের বেঁচে যাওয়া ৯ জেলে ভারত থেকে অসুস্থ অবস্থায় রবিবার দুপুরে  বাড়িতে ফিরেছে।
ফিরে আসা জেলেরা জানায়, সাগরে সলিল সমাধি হওয়া জেলেরা হচ্ছে, শরণখোলা  উপজেলার রাজৈর গ্রামের আনোয়ার ফরাজী, কামরুল ফরাজী, আশরাফুল গাজী, শহিদুল হাওলাদার, ডাবলু হাওলাদার, রাজাপুর গ্রামের মোদাচ্ছের হাওলাদার, নলবুনিয়া গ্রামের রিয়ারজ হাওলাদার এবং উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের আলমগীর হোসেন।
ওই ট্রলারের দ্বিতীয় মাঝি রাজৈর গ্রামের আ. মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. কবির হাওলাদার (২২) জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর ঝড়ের কবলে পড়ে তারা কিনারে  আসছিল। তখন  বোটটি ডুবে যায়। নিহতরা বোটের ভিতরে কেবিনের মধ্যে থাকায় বের হতে পারেনি। কবীরসহ  অন্য ৮ জন জেলে সাগরে ভাসতে ভাসতে ভারতের সীমানায় কেতুয়ার চরে গিয়ে ওঠে। সেখানে ভারতের এফবি সূর্যসেন নামের একটা বোটে তাদের উঠিয়ে নেয়।
ভারতের বোটের মাঝি রবীন দাস তাদের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেন। ২২ সেপ্টেম্বর সকালে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতের ওই এলাকায় ভেসে যাওয়া শরণখোলার বিলাশ রায় কালুর এফবি সাগর-১ ট্রলারে তাদের ৯ জনকে উঠিয়ে দেন ভারতের ট্রলারের মাঝি রবীন দাস। এসময় তাদের আশ্রয়ে থাকা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নূরাবাদ এলাকার আরো ১৪ জেলেকে উঠিয়ে দেন শরণখোলার অপর ট্রলার তহিদুল তালুকদারের এফবি আজমীর শরীফ-১ এ। তারা রবিবার মধ্য রাতে মোংলায় এসে পৌছায়।  রবিবার দুপুরে তারা বাড়ীতে আসে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. জাহিদ আল হাসান জানান, নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের সন্ধানে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের পাঁচটি টিম সুন্দরবন ও সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.