পানির অভাবে পুড়ছে ধান

0

মোঃ আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

মাঠজুড়ে রোপা আমন। চোখ ধাঁধাঁনো সুবজের মাঠ হঠাৎই লালচে হচ্ছে শুরু করেছে। কারন রোপা আমনে শেচ ব্যবহত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির অভাবে পুড়ছে ধান গাছগুলো। বিকল্প সেচ ব্যবস্থাতেও পানির চাহিদা মেটানো যাচ্ছেনা। ফলে কৃষকরা আমন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।

আশ্বীনের ২২ দিন পার হলেও কাটেনি ভ্যাপসা গরম। কোথাও নেই এক ফোটা পানি। উত্তরাঞ্চলের পদ্মানদী বিধৌত অন্যতম নাটোরের লালপুর উপজেলায় রোপা আমন ধানের ভরা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের গাছগুলো লালচে হয়ে যাচ্ছে।

অনাবৃষ্টিতে উপজেলার আমন ধানের ক্ষেত গুলো ফেটে যেতে শুরু করেছে। ক্ষেত গুলিতে বেড়েছে পোকা-মাকড়ের উপদ্রপ। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে সম্পূরক সেচ দিয়েও তেমন উপকার পাচ্ছে না চাষীরা। এতে করে আমন চাষ নিয়ে হুমকি মুখে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

শনিবার (০৬ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত গুলি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ধানের গাছ থেকে শীষ বের হচ্ছে। এ সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের চাষীরা।

উপজেলার স্থানীয় ধান চাষীরা বলছেন, এখনকার প্রায় জমির ধানেই শীষ আসতে শুরু করেছে উপর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এখানকার প্রায় জমিতে জমে থাকা পানি শুকিয়ে গেছে। অনেক জমিতে সম্পূরক পানি সেচ দেওয়া হয়েছে তবে যেসব জমিতে সেচ দেওয়া হয়নি, সেসব জমির ধানগাছ মরে যাচ্ছে। অবার জমিতে সেচ দেওয়া হলেও তাতে তেমন লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তারা আরো বলেন, উপর বৃষ্টি না থাকায় উপজেলার ধান ক্ষেত গুলিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমন দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও সম্পূরক সেচ দিতে অধিক মূল্য গুনতে হচ্ছে চাষীদের পাশাপাশি ফলন কমের আশঙ্কায় দিন কাটছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।

উপজেলার নান্দ গ্রামের কৃষক রশিদ আলী বলেন,আমাদের এলাকায় বৃষ্টির উপর ভরসা করে বর্ষা মৌসুমে শুধু মাত্র রোপা আমনের চাষ করে থাকি। বছরের শুরুতে বৃষ্টিপাত হলেও ধানের ভরা মৌসুমে বৃষ্টি অভাবে ধান ক্ষেতের মাটি ফেটে যাওয়ায় ধানের ক্ষতি হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে পাম্প দিয়ে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছ ।

বড়ময়না গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, এখন ধানের শীষ বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ধানের ঠিকমতো শীষ বের হচ্ছেনা। বৃষ্টির পানি ছাড়া সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। মাঠে পানি না থাকার কারনে ধানে পোকা-মাকোড় ও পচোন রোগের গেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলেন, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। প্রায় ধানেই এখন শীষ আসছে । তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারনে যে সকল জমির পানি শুকিয়ে গেছে সে সকল জমিতে প্রয়োজনীয় সম্পূরক পানি সেচ ও রোগবালাই রোধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক চাষাবাদ করলে আশা করছি ফলন কম হবে না।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.