বাংলাদেশে নৌ-চলাচল বন্ধ ভারতের দিকে যাচ্ছে ঘূর্নিঝড় ‘তিতলি’
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গোপসাগর এলাকা ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ে রুপান্তরিত হয়েছে। এটির নাম করণ করা হয়েছে ঘূর্নিঝড় ‘তিতলি’। ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আরো শক্তি সঞ্চয় করে ভারত উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ায় সারাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বাতাস বইছে। জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৪ নম্বর বিপদ সঙ্কেত চলায় নৌ-নিরাপত্তা এবং নৌ-ট্রাফিক বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশ দেয়।
আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৪৫ কি.মি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯০০ কি.মি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আর এরআগে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলেমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগসর হয়ে ঘণীভূত হতে পারে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলঘ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হযেছে। এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশ ও ভারত উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে এই ‘তিতলি’ নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান। এর অর্থ প্রজাপতি।- সূত্র ইত্তেফাক
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল