পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল কোটি টাকা, স্বর্ণাংলকার বৈদেশিক মূদ্রা
মুক্ত অনলাইন ডেস্ক
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স হিসেবে ব্যবহৃত মোট পাঁচটি লোহার সিন্দুক খুলে গণনা করে পাওয়া গেছে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা। তিন মাস ছয় দিন পর লোহার সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে। তাছাড়া পাওয়া গেছে প্রচুর বৈদেশিক ও দেশিয় খুচরা মূদ্রা এবং ৪০০ গ্রাম স্বর্ণাংলকার।
সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাবীবুর রহমান এবং কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মোঃ সাঈদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ শুরু হয়।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। শতাধিক মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন টাকা বাছাইয়ের পর টাকাগুলো বস্তায় ভরেন। পরে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ টাকাগুলো গুণে বুঝে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। পরে প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা দেওয়া হয়।
গত ৭ জুলাই মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল মোট ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা। সাধারণত ৩-৪ মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসেন। তারা দান ও মানত করে যায়।
তাছাড়া প্রতিদিন লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি নিয়ে আসে। ওইগুলো বিক্রি করে ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। প্রচুর সংখ্যক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজনও এই মসজিদে এসে দান ও মানত করেন।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল