সড়ক দুর্ঘটনা রোধে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের নানা উদ্যোগ

0

শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি

দিন বদলের সাথে সাথে বাড়ছে প্রয়োজনীয়তা। চাহিদা পূরনের ক্ষেত্রে মানুষও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। জীবনের জন্য সব কিছু হলেও এখন তার হচ্ছে তার উল্টোটা। ব্যক্তিস্বার্থের কাছে মানুষের জীবনও তুচ্ছ। এই ঘোরের কারনেই ঘটছে যত্রতত্র দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনা রোধে পুলিশও তৎপর।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি জনসচেনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে জেলার ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশের এসব উদ্যোগে জনসচেতনতা বাড়ার পাশপাশি সড়ক দুর্ঘটনা কমছে অনেকাংশেই।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশক ধরে জেলার লোকসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সড়কে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন। জেলার ছোট বড় সড়ক মহাসড়কে যানবাহন ও পথচারীর চাপে সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা।

এমন পরিস্থিতিতে সড়ককে নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের পাশাপাশি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে যানবাহন চালক ও পথচারীসহ জনসাধারণকে সচেতন করার কাজ করছে। পুলিশের এসব উদ্যোগের ফলে আগের চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসায় খুশি সাধারণ মানুষ।

বেপরোয়া চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জেলা পুলিশ কর্তৃক মহাসড়কের পাশে লাগানো হয়েছে সচেতনতামূলক বিলবোর্ড। যা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চালকরা গাড়ি চালাচ্ছেন।

গাজীপুর থেকে আসা পন্যবাহ ট্রাক চিালক আইনুল মিয়া (৩৫), জেলা শহরের বাসচালক সফিকুল ইসলাম (৪৫), তুষভান্ডারের পিকআপ চালক অপুসহ অনেক চালক বলেন, সড়কে সব সময়ই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সামান্য অসতর্কতাই বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে যায়। কিন্তু চালকদের সচেতন করার জন্য লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে সাইনবোর্ড চোখে পড়া মাত্রই অনেক চালকই মুহূর্তেই সতর্ক হয়ে যাচ্ছেন। ফলে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।

সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি সড়কে চলছে ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত অভিযান। যারা আইন মানছেন না তাদের ভাগ্যে জুটছে মামলা, জরিমানার খড়গ। যারা মানছেন তাদের আইন মানার সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে ফুলেল শুভেচ্ছা।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, শুধু অভিযান আর মামলা দিয়ে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়। সড়ককে নিরাপদ রাখতে যানবাহন চালক, পথচারী সবাইকে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। এ জন্য মালিক কর্তৃপক্ষ যদি সচেতন এবং প্রকৃত চালক দিয়ে তাদের যানবাহন চালানোর দায়িত্ব দেন। তাতে হয়তো আরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধ হবে।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.