ঢাবির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আটক ৪ শিক্ষার্থী রিমান্ডে

0

আরাফাত হোসাইন অভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে নর্থসাউথ ইউনিভর্সিটির ছাত্রসহ ৪ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও রয়েছেন। রাজধানীর গুলশান থানার নর্দ্দা বাজার মেইন রোড কালাচাঁদপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার চারজন হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক তানভির হাসান রাফি (২৭), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফরহাদ মিয়া (২৩), এস এম আবু সাঈদ (২২) ও শাহ মোহাম্মদ ফাহিম (১৯)।

পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই চারজনকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ওই মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তারা এখন কারাগারে আছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিআইডি আদালতকে বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার আগে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ করে পরীক্ষা চলাকালীন আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন।

মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

ওই মামলায় এর আগে গ্রেফতা ছয় আসামি হলেন জাহিদুল ইসলাম, মো. ইনসান আলী ওরফে রকি, মো. মোস্তাকিম হোসেন, মো. সাদমান সালিদ, মো. তানভির আহমেদ ও মো. আবু তালেব।

তাদের মধ্যে ইনসান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থী, আর জাহিদুল ইসলাম তার বাবা। অন্যরা বগুড়ার দুটি ভর্তি তথ্যদানকারী কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.