৭ বছর কারাদণ্ড খালেদাসহ চারজনের

0

আরাফাত হোসাইন অভি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্তদের ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্নান এবং বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলামকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। হারিছ চৌধুরী পলাতক থাকলেও কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।এসময় সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ চলমান রাখার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।তবে আপিল বিভাগের রায়ে ন্যায়বিচার পাননি বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। সেখান থেকে সম্প্রতি তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

এর অাগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী আদালত ঘুরে দেখা গেছে, রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

নিরাপত্তার স্বার্থে অস্থায়ী আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে চানখাঁরপুল থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে প্রবেশ করার রাস্তার মাঝামাঝি, চকবাজার থেকে আদালত চত্বরে প্রবেশের রাস্তা এবং বংশাল থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের রাস্তাসহ চারদিকে। কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে৷

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে আমরা তৎপর রয়েছি বলেও জানান তিনি।

মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.