তিতাসে ধর্ষকের ভয়ে ভুক্তভোগি পরিবার গ্রামছাড়া
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
ধর্ষক আল আমিনের (৩০) বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়েরের পর থেকে ভুক্তভোগি পরিবারটি গ্রাম ছাড়া রয়েছেন। এ ঘটনায় সাক্ষী হওয়ায় মোশারফ হোসেন নামে ১ জনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টারও অভিযোগ উঠে ধর্ষণকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
কুমিল্লার তিতাসে স্বামী পরিত্যাক্তা জেছমিন আক্তার (২৫) নামে এক নারী প্রায় দেড় মাস আগে ওই নির্মমতার শিকার হন।
এদিকে মামলা দায়েরের ৪০দিনেও ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে পরিবারটি। তবে পুলিশ বলছে- মামলার বাদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া ওই পরিবারটি নিরাপত্তা হীনতায় কি-না, পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার তিতাসের মৌটুপী গ্রামের সরকার বাড়ির হালিম সরকারের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী ও একই গ্রামের ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেনের মেয়ে ভিকটিম সন্তানদের নিয়ে পিতার আশ্রয়ে বসবাস করে আসছে।
এরই সুবাধে প্রতিবেশী শরীফ আলী খানের ছেলে আল আমিন খানের কু-নজর পরে এবং রাস্তাঘাটে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। সুযোগ বুঝে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতের কোন এক সময় ভিকটিমের বসত ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় ভিকটিমের হাত-মুখ বেধে ফেলে।
এরপর ভিকটিম সজাগ পেলে তাকে হুমকির মুখে ধর্ষণ করে। উভয়ের দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিমের ১৭ মাস বয়সি শিশু মেয়ে জেগে উঠে চিৎকার দিলে পাশের রুম থেকে পিতা মোশারফ হোসেন দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করার সময় ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় এলাকায় বিচার না পেয়ে মোকাম কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত নং-৩ অভিযোগ দায়ের করলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অফিসার ইনচার্জ তিতাসকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে আল-আমিনকে একমাত্র আসামী করে তিতাস থানায় মামলা নং ৯/ তাং ২৪.০৯.১৮ইং রুজু করা হয়। তবে মামলা রুজুর ৪০ দিনেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং আসামী পরিবারের নানাহ হুমকির মুখে গ্রাম ছাড়া রয়েছে ধর্ষিতার পরিবার।
সবশেষ গত ২০ অক্টোবর মামলার সাক্ষী মোশারফ হোসেনকে ডেকে এনে মৌটুপী ষ্টেশনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তবে আসামী পক্ষের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, মোশারফ হোসেন তাদের দোকানে হামলা করে সে আহত হয়েছে।
মবাসীর সাথে কথা হলে অনেকেই বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি আমরা পরিস্কার বলতে পারবো না। তবে শুনেছি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে এবং মেয়েটি মামলা করেছে।
এ বিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা নিয়েছি এবং মামলা তদন্তাধীন। বাদি কোথায় তা আমরা জানি না। সাক্ষী উপড় হামলা কিংবা তারা নিরাপত্তা হীনতায় কিনা সে বিষয়েও আমাদের কিছু জানায়নি। কেউ জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল