ইবি সংবাদদাতা
কখন কিসে কার মন ঘুরবে তা বলা মুশকিল। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসূলভ ব্যবহার আর তাদের আতিথেয়তা যেন রিতিমতো মুগ্ধ করেছে ভর্তি পরিক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের। শুধুই মুগ্ধ-ই নয়। করেছে অনুপ্রাণীত…ও।
এনিয়ে অনেকে শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইবি নিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
গতকাল সোমবার ডি ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা শেষ করে যাওয়ার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে ভর্তিচ্ছুরা তাদের মুগ্ধতার অনুভুতি জানিয়েছে।
কায়েস আহমেদ নামের এক ভর্তিচ্ছু লিখেছেন, বিদায় ইবি, তোমাকে ছেড়ে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। জানিনা ইবিয়ান হতে পারবো কিনা, কিন্তু যা পেয়েছি তোমার কাছ থেকে তা অমুল্য ভাবার বাহিরে।
বিকায়েত ট্রিপ্তি লিখেছে, কখনো ভাবতে পারিনি, ভার্সিটির ভাইয়ারা এতটা দায়িত্বশীল আর আপুদের বিহেভস্ তো অতুলনীয় সতিই ইবিতে না গেলে হয়তোও বা বুঝতে পারতাম না।
মাহবুব সায়েম লিখেছে, আগে যদি জানতাম ইবির ভাইয়েরা এত্ত কেয়ারফুল ও লাভলী হবে, তাহলে ভাইদের ভালবাসা নেওয়ার জন্যে ভালো ভাবে পড়ালেখা করে এখানে চান্স নিতাম।
মোনালিসা প্রধান লিখেছে, অনেক ভার্সিটিতে এক্সাম দিয়েছি, কোথাও থেকে ফেরার সময় মন খারাপ হয়নি কিন্তু ইবিকে ছেড়ে আসতে অনেক কান্না পাচ্ছে. এখানকার ভাইয়া-আপুরা এতোটাই আন্তরিক যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
মোঃ সেতু হোসেন তার অনুভুতি প্রকাশ করেছে, ইবির হলে থেকে পরীক্ষা দিলাম না যেন নিজের বাসা থেকে পরীক্ষা দিলাম যতটা ভেবেছি তার থেকে বেশি আন্তরিকতা পেয়েছি। যা ভোলার মত নয়।
চানিকা চৌধুরী লিখেছে, ইবির মতো সুন্দর মনোরম পরিবেশ কোনো ইউনিভার্সিটি তে আছে কিনা আমার জানা নেই, তবে যে গুলোতে পরীক্ষা দিয়েছি সেগুলোর মধ্যে ইবি অসাধারণ। ইবিয়ান ইতে পারবো কিনা জানিনা কিন্তু ওখান থেকে ফেরার পর চান্স পাবার ইচ্ছাটা আরো প্রবল ইয়েছে। ইবিয়ানরা সত্যিই অনেক লাকী ইবির সিনিয়রদের ব্যাবহার প্রসংসার যোগ্যতা রাখে। সাবাই দোয়া করবেন আমার জন্য যেন ইবিয়ান হবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারি ।
শাহরিয়ার নামক এক শিক্ষার্থী লিখেছে, অনেক ভার্সিটিতে এক্সাম দিছি কিন্তু কোন কিছু লিখি নাই। এবার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এ এসে না লিখে পারলাম না! প্রথমে মেইন গেইট এ ঢুকতেই ক্যাম্পাস টা হৃদয়ে অনেকটা ভাললাগার জায়গা করে নিল।
বেশ মনোরম পরিবেশ!! তারপর হৃদয়ে ভালোবাসার জায়গা করে নিলো ভার্সিটির বড় ভাইরা। তাদের আন্তরিক ব্যবহারে সত্যি আমি কৃতজ্ঞ। এই ক্যাম্পাস আমার হবে কিনা জানিনা কিন্তু হলের ভাইদের ভালোবাসা মনে থাকবে আজিবন।
নোহাইল নাহিদ লিখেছে, ইবি তে পরীক্ষা দেওয়ার পরই বুঝে গেছি, হয়তো চান্স হবে নাহ। কিন্ত সত্যি বলতে ইবির কথা একটুও ভুলতে পারছি না। বড় ভাইয়াদের অভিভাবক সূলভ আচরণ সত্যি মুগ্ধ করছে। যারা ইবিয়ান হতে যাচ্ছে তারা সত্যি অনেক ভাগ্যবান।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল