গুরুদাসপুরে খেতের ধান-পুকুরের মাছ লুট
গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
নাটোরের গুরুদাসপুরে খেতের পাকা ধান ও পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ জাকের আলীর বিরুদ্ধে। উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামারপাথুরিয়া গ্রামে কৃষক রব্বেল হোসেনের খেত ও পুকুরে ওই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
লুটপাটের ঘটনায় প্রতিপক্ষ জাকের আলী সরকার মো. আয়নাল হক সরকার ও মওলা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রব্বেল হোসেন বাদী হয়ে গম মঙ্গলবার ওই অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ দেওয়ার প্রেক্ষিতে মামলারবাদী ও তাদের পরিবারের লোকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে রব্বেল হোসেন অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী রব্বেল হোসেন জানান, তাদের বাড়ির পাশে খামারপাথুরিয়া মৌজায় পৃথক দুইুটি দাগে পুকুর ও ধান খেত রয়েছে। প্রায় ৩৭ বছর ধরে তারা ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ জাকের আলী ধান খেত ও পুকুরটি তাদের দাবী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকলেও গত সোমবার গভীর রাতে জাকের আলী ২০-২৫জন লোক নিয়ে খেতের পাকা ধানও ও পুকুরে চাষ করা মাছ লুট করেন। বাধা দিতে গেলে তাদের শসস্ত্র লোকজন হত্যার হুমকী দেয়। জীবনের নিরাপত্তার কারনে তাদের প্রতিহত করা যায়নি।
রব্বেল হোসেন আরো অভিযোগ করেন, ইতিপুর্বেও ধানখেত ও পুকুর জবরদখল করবে মর্মে প্রতিপক্ষরা হুমকী দিয়েছিল। সে সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা (নং-১২৬/১৮) করেছিলেন রব্বেল হোসেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ লোকবল নিয়ে পাকাধান-পুকুরের মাছ লুটপাট করেন। এতে তার প্রায় ১লাখ ৬০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. রুবেল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর দুইপক্ষকেই থানায় ডেকে স্থানীয়ভাবে আপোসের কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া ওই জমি নিয়ে আদালতে পরষ্পর বিরোধী মামলা থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে খেতের ধান কাটা ও পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত জাকের আলী দাবী করেন, দুইটি জায়গাই তাদের তাই খেতের ধান কেটে নেওয়া হয়েছে। পুকুরের মাছ মারা হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে ধান কাটা-পুকুরের মাছ লুট কেন? জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি। রব্বেল হোসেনকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগটিও অস্বীকার করেন জাকের আলী।