ঠাকুরগাঁওয়ের রমেশ চন্দ্র সেন আবারও এমপি হতে চান

0

মোঃ রাসেদুজ্জামান সাজু, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আবারও এমপি হতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন রমেশ চন্দ্র সেন। শুক্রবার ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সাবেক পানিসম্পদ ও খাদ্যমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন তার ছেলে পার্থ সারথী সেন।

রমেশ চন্দ্র সেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ ও খাদ্য মন্ত্রী। ইতোমধ্যে রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির এমপি ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তিনি এ আসনে তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। ২০০৮ সালে রমেশ চন্দ্র সেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ঠাকুরগাঁও-১ আসন ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ, ব্রীজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও সফরে এসে জেলার উন্নয়নে অনেকগুলো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেয়া ঠাকুরগাঁও-ঢাকা সরাসরি আন্ত:নগর ট্রেন চালু হয়েছে। পাশাপাশি জেলায় ইপিজেড, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আইটি পার্ক সহ অসংখ্য উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা হলে জেলার চেহেরা পাল্টে যাবে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচন হন। এরপর তিনি সরকারের পানিসম্পদ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। টানা ১০ বছর ধরে রমেশ চন্দ্র সেন ক্ষমতায় ছিলেন। এ সময় তিনি সদর আসনের ২১টি ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ উন্নয়ন করেছে। সেই সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের সুখ-দুখের সাথী ছিলেন তিনি। এই ধরনের মানুষকেই এ আসনে বার বার এমপি হিসেবে প্রয়োজন।

শহরের কলেজপাড়া মহল্লার রিক্সা চালক সিরাজ উদ্দীন বলেন, আমার ছেলের লেখাপড়া চালাতে পারছিলাম না, বিষয়টি নিয়ে এমপির কাছে গিয়েছিলাম। এমপি সাহেব তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, একটি স্কুলে আমার মেয়ের চাকুরির জন্য এমপি রমেশ সেনের কাছে গিয়েছিলাম।

এরপর তিনি আমার মেয়েকে একটি স্কুলে চাকুরীতে যোগদান করিয়েছেন। এমন একজন ভালো মানুষের খুব প্রয়োজন এ আসনে। আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবোধ চন্দ্র সেন বলেন, রমেশ সেনের দ্বারা এলাকায় যেমন উন্নয়ন হয়েছে, ঠিক তেমনি মানুষ পেয়েছে মুল্যায়ন। আমাদের নেতাকর্মীরা রমেশ সেনের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।

তৃণমূল নেতাকর্মী ও জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন রমেশ চন্দ্র সেন। তৃণমুল নেতাকর্মীরা রমেশ সেনকে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছেন এবং সুসংগঠিত হয়েছে। তাই এ আসন পুনরায় শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিতে চায় নেতাকর্মীরা।

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমি সদর আসনের উন্নয়ন করার জন্য এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছিলাম। আমি জনগণকে যেটুকু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার চেয়ে কয়েকগুণ উন্নয়ন করেছি। সেসব উন্নয়ন দৃশ্যমান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর আসন একটি মডেল উপজেলা হবে। মডেল উপজেলা করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে পুনরায় এমপি হতে হবে। তাই পুনরায় আমাকে এমপি করার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট প্রয়োগের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রমেশ সেন বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমার মনোনয়ন চূড়ান্ত করে তাহলে আমি আশাবাদি এ আসন হবে নৌকার ঘাটি। অথবা আমি ছাড়া অন্য কারও মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে আমরা তার পক্ষে কাজ করব এবং বিজয় ছিনিয়ে আনব।

মক্ত প্রভাত/রাশিদুল

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.