উল্লাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফটক ভেঙ্গে দিল প্রভাবশালীরা
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
উল্লাপাড়া উপজেলার কাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধ নির্মিত মুল ফটকটি গুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ফটকটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যানের এলজিএসপি প্রকল্প থেকে বরাদ্দ দেওয়া অর্থে সীমানা প্রাচীর বেষ্টিত এই বিদ্যালয়ের মুল ফটকটি নির্মাণ করা হচ্ছিল।
কাজিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা খাতুন অভিযোগ করেন, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় অর্থায়নে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়ার পর মুল ফটকটি বাদ থেকে যায়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কর্তৃপক্ষ আবেদন জানালে তিনি এই মুল ফটকটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। গত ১৩ নভেম্বর ফটক নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন, ফরিদা খাতুন, মর্জিনা খাতুন, আব্দুস সালাম, মোঃ মঞ্জু ও বেলাল হোসেন বিদ্যালয় মাঠসহ ২০ শতক জমি তাদের দাবি করেন। এবং ফটক নির্মাণ কজে বাঁধা দেন।
এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা বেঠক হয়। ফটকটি অর্ধেক নির্মিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের একদল দুষ্কৃতকারী সাবল, লোহার রড ও হামার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ বুধবার উল্লিখিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া থানায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম জি মাহমুদ ইজদানী জানান, যে জায়গায় বিদ্যালয়ের মুল ফটক নির্মাণ হচ্ছে এটি বিদ্যালয়ের-ই জায়গা। যারা এই জায়গা নিজেদের দাবি করছেন তাদের দাবির স্বপক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ফটক ভেঙ্গে দিয়ে যারা নিজেদের জায়গা দাবি করছেন তাদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কউশিক আহমেদ জানান, এই ঘটনা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এঘটনার সাথে জড়িতদের সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
মুক্ত প্রভাত/রাশিদুল