তুরস্কের জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করল দেশটি

0

দীর্ঘ ২  বছর রাষ্ট্রীয় জরুরী অবসথা চলার পর তুরস্কের তা প্রত্যাহার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ২০১৬ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।

আল-জাজিরার এক খবরের মাধ্যমে জানা যায়, এই জরুরি অবস্থা চলাকালীন শতশত সরকারি কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে তুর্কী সরকার। তবে  রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান নতুন পদ্ধতির নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।

বিরোধী পক্ষ নির্বাচনের হাতিয়ার হিসাবে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া সত্বেও কোন ফল পাননি তারা।

জানা গেছে গত দু’বছরে ১ লাখ ৭ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যূত করেছেন এরদোগান। তাছাড়া, এ পর্যন্ত  বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে এই জরুরি আইনের আওতায়। তাদের বিরুদ্ধে আনিত সেসব মামলা এখনও বিচারাধীন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সংসদ ভবন লক্ষ্য করে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২৫০ জন নিহত হন। তখন এরদোগানকে গৃহবন্দি করার ঘোষণা দেয় দেশটির সামরিক বাহিনীর কতিপয় পথভ্রষ্ট সদস্য। তার কয়েক ঘণ্টা পরই এরদোগান তার ফেসবুক লাইভে তারই সমর্থকদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। তার আহবানে লাখ লাখ সমর্থক রাজপথে নেমে আসে। এতে করে সামরিক বাহিনী পালাতে বাধ্য হয়। তারপর আবারও ক্ষমতার মসনদে বসেন এরদোগান। জরুরি অবস্থা জারি করা হয় । ওই অবস্থার জন্য দেশটির বিতর্কিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করা হয়ে থাকে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.